হাসপাতালে দুপুর-রাতে 'অরেঞ্জ ফ্লেবার'-এর বিস্কুটই ভরসা মৈত্রেয়কে শান্ত রাখার!
মৃত শিক্ষিকা কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের দেহ আদৌ তাঁর ছেলে মৈত্রেয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে নাকি, তা বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নেবেন তদন্তকারীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সল্টলেকে প্রৌঢ়ার অস্বাভাবিক মৃত্যর ঘটনায় নয়া মোড়। মৃত শিক্ষিকা কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের দেহ আদৌ তাঁর ছেলে মৈত্রেয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে নাকি, তা বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নেবেন তদন্তকারীরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদিন মনরোগ বিশেষজ্ঞ মৈত্রেয়র পরীক্ষা করবেন। চিকিত্সকের পরামর্শের ভিত্তিতে সব কিছু নির্ধারণ করবেন তদন্তকারীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে নার্সের কাছে ‘ওরেঞ্জ ফ্লেবারের’ বিস্কুট চায় মৈত্রেয়। সকালের জন্য এক প্যাকেট বিস্কুট ও রাতের জন্য আরও এক প্যাকেট চেয়ে রাখে সে। এক চিকিত্সক জানিয়েছে, হাসপাতালে থাকা নিয়ে তিতিবিরক্ত মৈত্রেয়। বারবারই নার্স ও চিকিত্সকদের এবিষয়ে প্রশ্ন করছে সে।
আরও পড়ুন: টাকা হাতাতেই কি মাকে পরিকল্পিতভাবে খুন? সল্টলেককাণ্ডে রহস্য ঘনীভূত
এদিকে মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে মৈত্রেয়ের কোনও হাত রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে ছেলে মৈত্রেয়ের চাপে কৃষ্ণা ভট্টাচার্য বাড়ির উপরের অংশ বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। দোতলা বিক্রির জন্য ৯০ লক্ষ টাকা চেয়েছিল মৈত্রেয়। যদিও পরে আরেকজন পার্টির কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছিল বলে খবর। কিন্তু ওই ব্যক্তির বাড়ি পছন্দ না হওয়ায় টাকাও ফেরত চান তিনি। এখনও পর্যন্ত সামান্য টাকা ফেরত দিতে পেরেছে মৈত্রেয়। কিন্তু এত টাকার কিসের জন্য প্রয়োজন? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাননি তদন্তকারিরা। তবে কি টাকার জন্যই মাকে খুন করেছে মৈত্রেয়? এই প্রশ্ন এখন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। এত টাকা মৈত্রেয়ের কীসের প্রয়োজন ছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে সল্টলেকের বিই ব্লকের ২২০ নম্বর বাড়ি থেকে এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়।