মধ্যশিক্ষা পর্ষদে আজ নয়া অ্যাডমিনিস্ট্রেটর

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ভেঙে আজই অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বসাচ্ছে সরকার। দু`বছরের জন্য নতুন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে সভাপতি এবং পর্ষদ সদস্যদের জায়গায় এবার থেকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটরই সব সিদ্ধান্ত নেবেন।

Updated By: Aug 1, 2012, 01:25 PM IST

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ভেঙে আজই অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বসাচ্ছে সরকার। দু`বছরের জন্য নতুন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে সভাপতি এবং পর্ষদ সদস্যদের জায়গায় এবার থেকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটরই সব সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে কী কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন না করিয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বসাচ্ছে সরকার, সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি শিক্ষা দফতরের তরফে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি অঞ্জন সেনগুপ্তের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে সরিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা চৈতালি দত্তকে পর্ষদের সভাপতি নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। অভিযোগ ছিল, পূর্বতন সভাপতি বাম আমলে নিযুক্ত হয়েছিলেন। সুতরাং, তাঁর নিয়োগ দলতন্ত্রের প্রভাবেই হয়েছে বলে দাবি ছিল বর্তমান সরকারের। কিন্তু বর্তমান সরকারও যাঁকে সভাপতির দায়িত্ব দিল, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তাঁকেও সরিয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল গত ১০ জুলাই। সরকারে আসার পর প্রায় এক বছর সময় পেলেও, রাজ্য সরকারের তরফে পর্ষদের নতুন নির্বাচিত বোর্ড গঠনের কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। ফলে ক্রমশই পরিষ্কার হচ্ছিল, বোর্ড ভেঙে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বসানোর পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার।

কিন্তু কেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বসানোর সিদ্ধান্ত? সরকারের তরফে নির্দিষ্ট ভাবে কোনও কারণই জানানো হয়নি। যদিও অনেকেই মনে করছেন, এই মুহূর্তে বোর্ডের নির্বাচন হলে সেখানে শিক্ষক ও অন্যান্য যেসব ব্যক্তিরা নির্বাচিত হয়ে আসতেন, তাঁদের মধ্যে বামপন্থী লোকেদের সংখ্যাই বেশি হোত। ফলে নির্বাচন না করানোই ছিল সরকারের উদ্দেশ্য। কিন্তু দু`বছরের মতো এত দীর্ঘ সময়ের জন্য কেন এই নিয়োগ? অনেকেই মনে করছেন, এই সময়ের মধ্যে শাসক দল স্কুলস্তরে নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
সেক্ষেত্রে আরও প্রশ্ন উঠছে, যদি শুধুমাত্র এই কারণেই অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ করে থাকে সরকার, তাহলে তাঁদের পছন্দের যে ব্যক্তিকে সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছিল তারা, সেই ব্যক্তিকে না দিয়ে অন্য একজনকে কেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের দায়িত্ব দেওয়া হল? বিকাশভবন সূত্রে খবর, গত এক বছরে সরকারের সঙ্গে  সভাপতির  বেশ কয়েকবার মনোমালিন্য হয়েছে। আর সেই কারণেই নতুন ব্যক্তিকে নিয়োগ। একে তো গণতান্ত্রিক পদ্ধতি থেকে সরে এসে মনোনীত ব্যক্তিকে সব ক্ষমতা দেওয়া, তার ওপর নিজেদের পছন্দ করা লোকের ওপরেই নিজের অনাস্থা। সব মিলিয়ে শিক্ষামহলের অনেকের কাছে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে দক্ষতা নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

.