নজুরুল ইসলামের করা মামলায় জেরবার রাজ্য সরকার
nazrul islam takes on mamata`s government
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময় তিনি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। রেলমন্ত্রী হওয়ার পর এই আইপিএস অফিসারকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রকেও নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁকে ফেরত আনেন। কিন্তু সেই সময় থেকেই সম্পর্কে চিড় ধরে যায়। রাজ্যের সেই সিনিয়র মোস্ট আইপিএস অফিসারের করা মামলায় এবার জেরবার রাজ্য সরকার।
ঘটনার সূত্রপাত নজরুল ইসলামকে ডিজি পদে পদোন্নতি না দেওয়ায়। আদালতে জমা দেওয়া নথি অনুসারে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর মুখ্যসচিবের অফিসে একটি বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে সদস্য হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের অতিরিক্ত সচিব নুরুল হক, স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় ও তত্কালীন ডিজি নপরাজিত মুখার্জি। এই বৈঠকে বিজয় কুমার, আর জে এস নালোয়া, জি এম প্রভু আর রেড্ডি, অনিল কুমার এবং রাজ কানোজিয়াকে ডিজি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বৈঠকে উপস্থিত চারজন সদস্যই বৈঠকের মিনিট্স-এ স্বাক্ষরও করেছিলেন।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছিলেন আইপিএস নজরুল ইসলাম। সেই মামলা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে গিয়েছে। সেই পদোন্নতি আদৌ বহাল থাকবে কিনা তা নির্ভর করছে এই মামলার রায়ের ওপরই। শুধু তাই নয়, নজরুল ইসলামের অভিযোগ ছিল ওই বৈঠকে বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নুরুল হকের সদস্য হিসাবে উপস্থিতি আইনসিদ্ধ নয়। আদালত কার্যত তা মেনে নিয়ে সরকারকে এই সংক্রান্ত নথি জমা দিতে বলেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া নোটে বলা হয়েছিল, বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় অসদস্য হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন ওই বৈঠকে। ওই নোট থেকে আরও জানা যায় সিদ্ধান্ত অনুসারে আগেও স্বরাষ্ট্র সচিব এমন বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেই নোট থেকে পরিস্কার নয়, কে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং কোন আইনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী দিন সরকারের উত্তরে এই বিষয়টি পরিস্কার করতে হবে।