করোনা...তুমি যাও, তুমি যাও/...তোমার ভয়টাকে রেখে যাও, মনের কথা কবিতায় শোনালেন নচিকেতা
করোনার আতঙ্ক এখন বিশ্বজুড়ে। দুঃসময়েরও কিছু ভাল দিক থাকে। সেটাই যেন বুঝিয়ে গেলেন নচিকেতা।
নিজস্ব প্রতিবেদন— গোটা বিশ্ব এখন যেন একটা শহর। আর সেই শহরে একখানা বিরাটাকার দানবের হামলা হয়েছে। মানুষ ভীত, সন্ত্রস্ত। কিন্তু লড়াই করার জন্য একজোট। এই যুদ্ধে সেই দানবকে হারাতেই হবে। শহরে ধর্মের ব্যবসা করতেন যাঁরা, তাঁরা এখন বন্দিদশায়। দানবের ভয়ে দুয়ার এঁটে সিঁটিয়ে রয়েছেন আল্লাহ—রামের নামে বিভেদকারীরা। নাগরিকপঞ্জি হাতে গুরে বেড়ানো লোকজনকে দেখে চেনা যাচ্ছে না। কারণ, তাঁদের মুখ মাস্কে ঢাকা।
করোনার আতঙ্ক এখন বিশ্বজুড়ে। দুঃসময়েরও কিছু ভাল দিক থাকে। সেটাই যেন বুঝিয়ে গেলেন নচিকেতা। এই প্রবল দুঃসময়ে মানুষে মানুষে বিভেদ কমেছে। ধর্মের বিভেদ নেই। হয়তো করোনা আতঙ্ক কাটলেই আবার সব আগের মতো হবে। আল্লা—রামে বিভক্ত হবে মাবজাতি। নচিকেতা সেই দিন আর দেখতে চান না। আমরা কেউই হয়তো সেই বিভেদ, বিদ্বেষ আর চাই না। কিন্তু এত সহজ তো নয়। আমরা না চাইলেও কেউ বা কারা হয়তো সেটা চায়। তাঁরাই আবার গোল বাঁধাবে। নচিকেতা তাই কবিতার প্রথম লাইনে লিখেছেন— করোনা নামের মহামারি তুমি যাও, তুমি যাও/ একটা বিনীত অনুরোধ তোমার ভয়টাকে রেখে যাও/ ওগো ভয় তোমারই হোক জয়/ তুমি নির্ভীক তরবারি তুমি নির্মেদ অক্ষয়/ তোমারই হোক জয়।
আরও পড়ুন— শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করোনায় মৃত দমদমের প্রৌঢ়ের সহকর্মী
এই কঠিন সময়ে মনের কথা কবিতায় তুলে রেখেছেন নচিকেতা। বিষয়ভিত্তিক গানে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। করোনার আতঙ্কের মাঝে সীমান্ত, কাঁটাতার সব যেন অদৃশ্য। নগর থাকবে কি না সংশয়। তাই নাগরিকরা আর নিজেদের মধ্যে হাজার কারণ নিয়ে লড়ছেন না। সারা বছর ধর্মের নামে মানুষে—মানুষে বিভেদ ঘটানো লোকেরা মুখোশে মুখ ঢেকেছেন। নচিকেতা তাই লিখেছেন— কারোর মুখই যাচ্ছে না দেখা আল্লাহ অথবা রাম/ সবার মুখই মাস্কেতে ঢাকা সবার কপালে ঘাম। গোটা বিশ্বের মানুষ এই মহামারীর হাত থেকে রক্ষার পথ খুঁজছে। সুদিন ফিরবে কবে, প্রহর গুনছে। নচিকেতাও চাইছেন তেমনই। তবে তিনি শুধু করোনার এই ভয়টাকে রেখে দিতে চাইছেন। আখেরে তাতে মানবজাতিরই তো লাভ! তাই না!