বাড়ির বদলে মিলবে বাড়ি, দোকানের বদলে দোকান! বউবাজারে পুনর্বাসনের রূপরেখা চূড়ান্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী
নবান্নের এই জরুরি বৈঠকে আনা হয়েছে একাধিক প্রস্তাব।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বউবাজারে বিপর্যয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিকেলে নগরপাল অনুজ শর্মা, তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মেট্রোর আধিকারিক এবং দুর্গা পিতুরি লেনের ৫ জনের প্রতিনিধি দল-সহ উচ্চপদস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক সেরেছেন নেত্রী। নবান্নের এই জরুরি বৈঠকে আনা হয়েছে একাধিক প্রস্তাব।
দেখে নেওয়া যাক বৈঠকে এ দিন কী বললেন মমতা
* বাড়ির বদলে বাড়ি চাওয়া হয়েছে, রেল সম্মত হয়েছে। সমীক্ষা করে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।
* দোকানের বদলে দোকান দেওয়া হবে।
* এখনও পর্যন্ত মোট ৫২টি পরিবারকে সরানো হয়েছে। বাড়ি হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত ঘর হারাদের সমস্ত দায়িত্ব মেট্রো কর্তৃপক্ষের।
* জেমস সিনেমার কাছে মেট্রোর বাড়ি রয়েছে, সেই বাড়িতে অস্থায়ী জায়গা দেওয়ার ব্যবস্থার ভাবনা চলছে ।
* সরকারি তরফে দরকারি নথি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
* যাঁরা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে চান তাঁদের ভাড়া মেটাবে মেট্রো।
* কর্মহীনদের মাসহারার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
* ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র নিতে ১ জন করে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
* ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব।
* দোষ-গুন বিচারের সময় এটা নয়। একসঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হবে। গাইডলাইন মেনে কাজ করবে কোর কমিটি।
* পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব মেট্রোকে।
* বাড়ির মূল্যবান জিনিস যাতে চুরি না হয়ে যায় তার জন্য সিসি ক্য়ামেরা বসিয়ে নজর রাখা হচ্ছে।
* সামনেই যাঁর বিয়ে তাঁকে মেট্রো এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সব মিলিয়ে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
এ ছাড়াও একাধিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে নবান্নের বৈঠকে। প্রস্তাবে খুশি দুর্গতরাও। তবু অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে এদিনের বৈঠকে ঘর হারাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষও।