ভোটের আগে সরকারি কর্মীদের চটানো যাবে না, নবান্নে কোটি টাকার বায়োমেট্রিক মেশিন চালু করবে না রাজ্য
ভোট বড় বালাই। তাই মুখে কর্ম সংস্কৃতি ফেরানোর কথা বললেও পিছিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। কোটি টাকা খরচ করে নবান্নে বায়োমেট্রিক মেশিন বসিয়েও ভোটের আগে তা চালু না করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
ওয়েব ডেস্ক: ভোট বড় বালাই। তাই মুখে কর্ম সংস্কৃতি ফেরানোর কথা বললেও পিছিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। কোটি টাকা খরচ করে নবান্নে বায়োমেট্রিক মেশিন বসিয়েও ভোটের আগে তা চালু না করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
কর্মীদের সময়ে হাজিরা নিশ্চিত করতে গত বছর অক্টোবরে নবান্নে বায়োমেট্রিক মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। মেশিন বসাতে এক কোটি টাকার বরাত দেওয়া হয় ওয়েবেলকে। নবান্নর প্রতিটি ফ্লোরে লিফটের সামনে বসানো হয় বায়োমোট্রিক মেশিন। নবান্নে কর্মরত আড়াই হাজার কর্মীর বায়োমেট্রিক কার্ডও তৈরি করে ওয়েবেল।
ঠিক ছিল, অফিসে আসা এবং ছুটির সময়, দুবারই মেশিনে কার্ড ছুঁইয়ে হাজিরার রেকর্ড রাখবেন কর্মীরা। তবে সেই সময় মেশিন বসিয়েও কর্মীদের আপত্তিতেতা চালু করেনি সরকার। কারণ হিসাবে কর্মীদের তরফে বলা হয়, নবান্নে যাওয়া-আসার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবহণ নেই, তাই সময়ে পৌছনো অসুবিধাজনক। পরিবহণ দফতর বিভিন্ন রুটে বাস চালু করার কথা বললেও তা চালু হয়নি। অফিস টাইমের পর বাস কার্যত অমিল। ফলে ফেরার সময়ও তাড়াতাড়ি না বেরোলে দূর দূরান্তে পৌছনোর বাস পাওয়া যায়না।
কর্মীদের অনুরোধ মেনে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত দু হাজার পনেরোর মাঝামাঝি পর্যন্ত স্থগিত রাখে রাজ্য। এবছরের মাঝামাঝি থেকে হাজিরার এই ব্যবস্থা চালু করার কথা ছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই আটচল্লিশ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বকেয়া থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে সরকারি কর্মীদের মধ্যে। গত সপ্তাহেই কেন্দ্র আরও ছ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করায় চাপের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মাত্র দশ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেন। এতেও অবশ্য ক্ষোভ কমেনি সরকারি কর্মীদের। আগামী সাত মাসের মধ্যে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। ভোটকর্মীদের বড় অংশই রাজ্য সরকারি কর্মী। ভোটের আগে তাই সময়ে হাজিরা নিয়ে চাপ বাড়িয়ে কর্মীদের ক্ষোভ আরও বাড়াতে চান না মুখ্যমন্ত্রী।