নিঃসঙ্গ বৃদ্ধার রহস্যজনক মৃত্যু!
ওয়েব ডেস্ক: ভাড়া বাড়িতে নিঃসঙ্গ বৃদ্ধার রহস্যজনক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল ভবানীপুরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রোমোটার চক্রের চাপ সত্ত্বেও বাড়ি না ছাড়ায় সুনন্দা গাঙ্গুলি নামে ওই বৃদ্ধাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লেগে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার আগে পুলিসের কাছে ঘটনাস্থলের ছবি চেয়েছেন চিকিত্সকরা। বৃদ্ধার মৃত্যুর পিছনে প্রোমোটার চক্রের হাত আছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
১০৩/২ বকুলবাগান রোড, ভবানীপুর
স্বামী-ছেলে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। ভবানীপুরের অভিজাত এলাকায় পুরনো এই বাড়ির একতলায় একাই থাকতেন বছর ষাটের ভাড়াটে সুনন্দা গাঙ্গুলি। স্থানীয় এক কিশোর তাঁর কাজকর্ম করে দিত। সেই ছেলেটিই সোমবার সকাল ৯-টা নাগাদ সুনন্দা গাঙ্গুলির মৃতদেহ দেখতে পায়। দরজা খোলা ছিল। বাড়ির পিছনে নালার ওপর খালি পায়ে উপুড় হয়ে পড়েছিলেন বৃদ্ধা।
প্রোমোটার চক্রের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ। বছর ছয়েক আগে হিমাংশু শা নামে এক প্রোমোটার ১ কোটি কুড়ি লাখ টাকায় বকুলবাগান রোডের দোতলা বাড়িটি কেনেন। বাড়ির দাম এখন ১০ কোটি টাকার বেশি। হিমাংশু শা বাড়ি কেনার পর দোতলার ভাড়াটেরা উঠে যান। একতলায় ভাড়া থাকতেন সুনন্দা গাঙ্গুলি ও সত্যপ্রকাশ সান্যাল নামে আরেক ব্যক্তি। বাড়ির মালিক হিমাংশু শা-র দাবি মেনে সুনন্দা গাঙ্গুলির স্বামী ও ছেলে বাড়ি ছেড়ে দিতে লিখিত সম্মতি দেন।
বাড়ি ছাড়েননি সুনন্দা গাঙ্গুলি। স্বামী-ছেলে অন্যত্র চলে যাওয়ায় তিনি একাই ভাড়াটে হিসাবে থেকে যান।
প্রোমোটিংয়ে বাধা হওয়াতেই বৃদ্ধা খুন?
সুনন্দা গাঙ্গুলির প্রতিবেশীরা বাড়ির মালিক প্রোমোটার হিমাংশু শা-র দিকেই আঙুল তুলছেন। প্রোমোটার হিমাংশু শা অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড শাখা। নিয়ে যাওয়া হয় পুলিস কুকুর। পৌছন পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। যুগ্ম-কমিশনার বিশাল গর্গ জানান, মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন নেই। ঘরের জিনিসপত্রেও হাত পড়েনি। নেই কোনও ধস্তাধস্তির চিহ্ন।
মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস।