বাগুইআটিতে জোড়া খুন, কিনারা হয়নি এখনও

দু'দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও বাগুইআটির অশ্বিনীনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় নির্ভরযোগ্য কোনও সূত্র পায়নি পুলিস। রবিবার নমুনা সংগ্রহের জন্য মৃত সঙ্গীতা লোহারিকা ও ইশা লোহারিকার ফ্ল্যাটে যান ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা। দিনভর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সঙ্গীতার স্বামী, বাবা এবং মাকে। জেরা করা হয় ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত রাজেশ ভারতিয়ার স্ত্রী এবং শ্যালককেও। 

Updated By: Jan 28, 2012, 07:41 PM IST

দু'দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও বাগুইআটির অশ্বিনীনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় নির্ভরযোগ্য কোনও সূত্র পায়নি পুলিস। রবিবার নমুনা সংগ্রহের জন্য মৃত সঙ্গীতা লোহারিকা ও ইশা লোহারিকার ফ্ল্যাটে যান ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা। দিনভর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সঙ্গীতার স্বামী, বাবা এবং মাকে। জেরা করা হয় ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত রাজেশ ভারতিয়ার স্ত্রী এবং শ্যালককেও।  
দুজন খুন এবং একজন নিখোঁজ। এই সূত্র ধরেই বাগুইআটির অশ্বিনীনগরে মা ও মেয়ে খুনের ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিস। লোহারিকা পরিবারের ঘনিষ্ঠ রাজেশ ভারতিয়ার সন্ধানে তল্লাসি চলছে। শনিবার বেলা দেড়টা নাগাদ রাজেশের স্ত্রী রাধা ভারতিয়া নিউ টাউন থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। যাতে তিনি বলেছেন,২৬ তারিখ রাত থেকেই তাঁর স্বামী রাজেশ ভারতিয়া নিখোঁজ। বন্ধ তাঁর মোবাইল। বিভিন্ন সূত্র থেকে পুলিস যে প্রমাণ পাচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ২৬ তারিখ ভোর সাড়ে ৩ টে থেকে সাড়ে ৪ টের মধ্যেই খুন হয়েছেন সঙ্গীতা লোহারিকা এবং তাঁর ১০ বছরের মেয়ে ইশা। এক্ষেত্রে ইশার চিত্‍কার, প্রতিবেশীদের বয়ান পুলিসকে সূত্র দিয়েছে।
 
রবিবার নমুনা সংগ্রহে বাগুইআটির ফ্ল্যাটে যান ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা। এদিন সঙ্গীতার বাবা, মা এবং স্বামীকে ফের বাগুইআটি থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাজেশ লোহারিকা পরিবারের কতটা ঘনিষ্ঠ, তাঁর সম্পর্কে লোহারিকা পরিবার কতটা জানে, সে সম্পর্কে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাজেশের স্ত্রী রাধা ভারতিয়া এবং শ্যালক শ্যামসুন্দর আগরওয়ালকে। খুনি যে এই পরিবারের ঘনিষ্ঠ সে সম্পর্কে নিশ্চিত পুলিস। কারণ, খুনের পর ধারাল অস্ত্রটি ধুয়ে, বাইরে থেকে ঘরে তালা দিয়ে চম্পট দেয় খুনি। অর্থাত্‍, কোথায় কোন তালা বা কোথায় কোন চাবি ব্যবহার হয়, তা খুনির জানা ছিল।
যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে টাকা বা গয়না কিছুই খোয়া যায়নি, সেকারণে লোহারিকা পরিবারের ব্যাঙ্কের পাসবুক খতিয়ে দেখছে পুলিস। দেখা হচ্ছে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা। পুলিস জানতে পেরেছে, ব্যবসায়ে সমস্যার কারণে আর্থিক অনটন চলছিল সঙ্গীতা দেবীর স্বামী অরুণ লোহারিকার। ব্যবসায় সমস্যা চলছে রাজেশেরও। তাহলে জোড়া খুনের উদ্দেশ্য কী? ব্যক্তিগত শত্রুতা, আক্রোশ না পারিবারিক গোলমাল, সেই সূত্রই এখন হাতড়ে চলেছে পুলিস।

.