অবশেষে বিহার থেকে গ্রেফতার মুন্না
অবশেষে গ্রেফতার হলেন গার্ডেনরিচকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্না। বিহারের রোহতাস জেলার ডেহরি অন শোন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিস। একটি পিসিও থেকে ফোন করার সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে সিআইডি সূত্রে। সিআইডি-র দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়। বিহারের স্থানীয় আদালতে পেশ করার পর ট্রানজিট রিমান্ডে মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নাকে কলকাতায় আনা হবে। কবে বা কখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য মেলেনি।
অবশেষে গ্রেফতার হলেন গার্ডেনরিচকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্না। বিহারের রোহতাস জেলার ডেহরি অন শোন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিস। একটি পিসিও থেকে ফোন করার সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে সিআইডি সূত্রে। সিআইডি-র দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়। বিহারের স্থানীয় আদালতে পেশ করার পর ট্রানজিট রিমান্ডে মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নাকে কলকাতায় আনা হবে। কবে বা কখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য মেলেনি।
ইতিমধ্যে মুন্নাকে আদালতে তোলা হয়ে গিয়েছে কিনা তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। ফলে ঠিক কখন কলকাতায় আনা হবে তাঁকে সে প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। মুন্নার গ্রেফতারি নিয়ে আজ দিনভর চূড়ান্ত বিভ্রান্তি চলে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে সিআইডি অভিযানে মুন্না হাতের নাগালে এসেও পালিয়ে যান বলে প্রথমদিকে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল। পরে সিআইডি-রই একাংশ দাবি করে, গোয়েন্দারা আবার অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে মুন্নাকে। এই পরস্পরবিরোধী তথ্যের মধ্যেই শেষপর্যন্ত জানা যায় বিহার পুলিস মুন্নাকে গ্রেফতার করেছে। আলিগড় অভিযানে সিআইডি-র হাতে ধৃত মুন্নার তিন সাগরেদকে জেরা করে মুন্না সম্পর্কে তথ্য মেলে বলে খবর।
গোয়েন্দারা যখন মুন্নার ডেরায় পৌঁছন তখনও সেখানেই ছিলেন গার্ডেনরিচকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। ভিতরে ঢুকতে গেলে পুলিসকে বাধা দেয় স্থানীয় লোকজন। মারধরের মুখেও পড়েন পুলিসকর্মীরা। এই হুড়োহুড়ির সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যান মুন্নাভাই। এজন্য খুব একটা বেশি বেগ পেতে হয়নি তাঁকে। গার্ডেনরিচকাণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্না। তাঁকে ধরতে গিয়ে বারবার ব্যর্থতা হাতে আসছে সিআইডি-র। এবার তো মুন্নাভাই হাতে এসেও ফসকে গেলেন।
যাদের আশ্রয়ে এতদিন ছিলেন মুন্না, তাঁরা যে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন সে তো স্বাভাবিক কথা। কিন্তু এই আশ্রয়দাতাদের ঠেকানোর উপায় কেন গোয়েন্দারা আগেভাগে ভাবলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে কি ঠিকঠাক পরিকল্পনা না করেই এই অভিযান চালায় সিআইডি? পরিকল্পনায় গলদের কথা মানছেন গোয়েন্দাকর্তারাও। ঘটনার পর দিনেদুপুরে প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল মুন্নাকে। প্রথমে তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা। নির্দোষ সার্টিফিকেট খোদ মন্ত্রীর।