ঘটনায় মুন্না জড়িত তা আমি বিশ্বাসই করি না: ফিরহাদ
গার্ডেনরিচের ঘটনাপ্রবাহ বলছে, পুরো ঘটনার পিছনে ছিল ১৫ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নার প্ররোচনা। অথচ প্রথম থেকেই তাঁকে বারবার আড়াল করছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুন্নার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তবু গতকাল মহাকরণে পুরমন্ত্রী বললেন, ঘটনায় মুন্না জড়িত তা তিনি বিশ্বাসই করেন না।
গার্ডেনরিচের ঘটনাপ্রবাহ বলছে, পুরো ঘটনার পিছনে ছিল ১৫ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নার প্ররোচনা। অথচ প্রথম থেকেই তাঁকে বারবার আড়াল করছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুন্নার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তবু গতকাল মহাকরণে পুরমন্ত্রী বললেন, ঘটনায় মুন্না জড়িত তা তিনি বিশ্বাসই করেন না।
৭ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের জেলাশাসকের বাংলো ভাঙচুরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করে পুলিস। ৮ ফেব্রুয়ারি ঘটনার নিন্দা করে বিবৃতি দেন পুরমন্ত্রী।
মঙ্গলবার সেই পুরমন্ত্রীকেই দেখা গেল গার্ডেনরিচের হরিমোহন ঘোষ কলেজের সামনে। কিছুক্ষণ আগেই সেখানে গুলিতে মারা গেছেন পুলিসকর্মী তাপস চৌধুরী। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর ফোন এল পুরমন্ত্রীর কাছে। ফোনে `দিদি`কে আশ্বস্ত করে তিনি জানালেন `মুন্নাই ছিল আক্রমণের লক্ষ্য`।
বুধবার পুরমন্ত্রী বক্তব্য অবশ্য কিছুটা পাল্টে গেল।
ঘটনার শুরু থেকে শেষ, প্রবল বিক্রমে লক্ষ্য করা গিয়েছে ১৫ নম্বর বরো চেয়ারম্যান ওরফে মুন্নার উপস্থিতি। তার সঙ্গীরাও যে সশস্ত্র ছিল, তারও প্রমাণও মিলেছে।
পুলিস এই ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। যদিও এফআইআরে নাম নেই মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নার। অভিযোগ উঠেছে, পুরমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্যই তাঁকে ছাড় দিয়েছে পুলিস। ঘটনার পরেই ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য ছিল মুন্নাই আক্রান্ত হয়েছে। সেইসময়ও পুরমন্ত্রীর পাশে দেখা দিয়েছে সগর্ব উপস্থিতি।
শেষপর্যন্ত পুরমন্ত্রীর পাশে এই সগর্ব উপস্থিতির কারণেই কী গ্রেফতার করা যায়নি মুন্নাকে? এমনকী তাঁর নেতৃত্বে হামলা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়নি। যদিও দিনকয়েক আগে এই ধরনেরই একটি ঘটনায় কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রনোদিত মামলা দায়ের করেছিল পুলিস।