সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন দল, প্রকাশ্যে মুখে কুলুপ মুকুল রায়ের, অন্য সমীকরণ ঘিরে জল্পনা
সংবাদপত্রে নতুন দলের বিজ্ঞপ্তি দিয়েও প্রকাশ্যে চুপ মুকুল রায়। তাঁর নির্দেশে মুখে কুলুপ ঘনিষ্ঠদেরও। কোচবিহার থেকে নতুন দলের ঠিকানা। আনকোরাদের সামনে রেখেই তৈরি নতুন দল। গোটা প্রক্রিয়া ঘিরে এত গোপনীয়তা কেন? তাহলে কি নতুন দল গড়েও অন্য কোনও সমীকরণের অপেক্ষায়?
ব্যুরো: সংবাদপত্রে নতুন দলের বিজ্ঞপ্তি দিয়েও প্রকাশ্যে চুপ মুকুল রায়। তাঁর নির্দেশে মুখে কুলুপ ঘনিষ্ঠদেরও। কোচবিহার থেকে নতুন দলের ঠিকানা। আনকোরাদের সামনে রেখেই তৈরি নতুন দল। গোটা প্রক্রিয়া ঘিরে এত গোপনীয়তা কেন? তাহলে কি নতুন দল গড়েও অন্য কোনও সমীকরণের অপেক্ষায়?
অবশেষে নতুন দল গড়লেন মুকুল রায়। দলের নাম জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস। নতুন দল গঠন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে সংবাদপত্রে। দলের সভাপতি অমিতাভ মজুমদার। সাধারণ সম্পাদক ফরিদ খান। কোষাধ্যক্ষ পৃথ্বীশ দাশগুপ্ত। বিজ্ঞপ্তিতে দলের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে থানাপাড়া রোড, পোস্ট দিনহাটা। যদিও মুকুল রায়ের নিজের বক্তব্য, এবিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি।
অবশেষে বিজ্ঞপ্তি জারি করল জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস। বহু প্রতীক্ষার পর রাজ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করল মুকুল রায়ের নতুন দল। তবে গোটা বিষয়টি করা হয়েছে বকলমে। বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও মুকুল রায়ের নামের উল্লেখ নেই। কারণ তিনি এখনও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। সেকারণে অন্যকে সভাপতি করেই দল গড়ার প্রস্তুতি চলেছে গত ছমাস। তিনি যে দল গড়ছেন তার ইঙ্গিত মুকুল রায় দিয়েছিলেন কয়েকদিন আগেই। কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করা প্রসঙ্গে অজয় মুখার্জির প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
তাহলে কেন এভাবে বকলমে দল গঠন? কেনই বা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল উত্তরবঙ্গ থেকে?
কেন গোপনে প্রস্তুতি?
নিয়ম অনুযায়ী কোনও দলের অফিস চালু করতে হলে স্থানীয় পুরসভার NO OBJECTION সার্টিফিকেট নিতে হয়। সমস্যা ছিল সেবিষয়েই।
গোপনীয়তাই স্ট্র্যাটেজি মুকুল রায়ের। কারণ তৃণমূল থেকে ইস্তফা না দেওয়া পর্যন্ত নতুন দলে যোগ দিতে পারেন না তিনি।
আর এই স্ট্র্যাটেজি নিয়েই গোপনে দলগড়ার প্রক্রিয়া সেরে ফেলে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে নতুন দলকে সামনে আনতে চাইছেন মুকুল রায়। শীলভদ্র দত্ত ও স্বপনকান্তি ঘোষ, তৃণমূলের এই দুই বিধায়ক রয়েছেন তাঁর সঙ্গে। রয়েছেন কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রদীপ ঘোষও। তৈরি হয়ে গেছে জেলার জন্য আলাদা বিন্যাসও।
প্রস্তুতি ধাপে ধাপে। দল গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় জুন মাসে। ৩০শে জুলাই আবেদন জমা পড়ে নির্বাচন কমিশনে। বৈঠক করে এবিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেয় নির্বাচন কমিশন
এরপরেই বিজ্ঞপ্তি জারি হল সংবাদপত্রে। আগামি এক মাসের মধ্যেই কাজ শুরু করবে জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস
আগামী বিধানসভা ভোটে সংখ্যালঘু ভোটকে হাতিয়ার করেই এগোতে চান মুকুল রায়। তবে তৃণমূলকে কি তিনি ভাঙতে পারবেন? সেনিয়েই এখন জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।