শিবির ভিন্ন, তবে বিধানসভায় কাছাকাছি Mukul-Suvendu
কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের হঠাৎ আসন বদল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগে দু’জনেই ছিলেন বিজেপিতে। তাই মতাদর্শও এক ছিল। এখন একজন ফিরে গিয়েছেন পুরনো দলে। অন্যজন রয়েছেন বিজেপিতেই। ফলে মত বদলেছে, বদলেছে পথও। বেড়েছে দূরত্ব।
তবে সেটা তো বাইরে। বিধানসভার অন্দরের ছবিটা কিন্তু অন্য কথা বলছে। কেন? কারণ, সেখানে দূরত্ব কমিয়ে কাছাকাছি মুকুল-শুভেন্দু! না, চমকে ওঠার কোনও কারণ নেই। দুই নেতার মধ্যে সখ্যতা বেড়েছে বা তাঁদের মতাদর্শ মিলে গিয়েছে, তেমনটা নয়। কেবল বিধানসভা কক্ষে একজন আসন বদলে অপর জনের আরও কাছাকাছি এসেছেন।
আরও পড়ুন: দেবাঞ্জন কাণ্ডের জের! কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে কী করতে হবে? বিধায়কদের শেখাল তৃণমূল
আরও পড়ুন: বিজেপির ‘সিক্রেট জেনারেল’! Tushar Mehta-কে টুইটে তোপ Abhishek-এর
আসলে বিধানসভায় মুকুল রায়ের বসার আসনটি বদলে গিয়েছে। সম্ভবত তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের ইচ্ছেতেই তেমনটা হয়েছে। বিধানসভার অধিবেশন শুরুর দিন ৩ নম্বর ব্লকের ৪২ নম্বর আসনে বসেছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। তবে আজ থেকে তাঁর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে ২ নম্বর ব্লকের ১৫ নম্বর আসনে। ঠিক শুভেন্দু অধিকারির বাঁ দিকে।
কেন মুকুল রায়ের হঠাৎ আসন বদল? এর পিছনে তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাঁদের মতে, শিবির বদলালেও খাতায় কলমে এখনও মুকুল বিজেপিরই বিধায়ক। ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের কাছে জমা পড়েছে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার আবেদন। আগামিদিনে এই ইস্যুতে আইনি পথে হাঁটারও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই মুকুলের আসন বদলে, সম্ভবত তাঁকে বিজেপি বিধায়ক প্রমাণে শাসকদলের মরিয়া চেষ্টা।