উপনির্বাচনের ফল কি কার্যত মুকুল রায়ের বিদায়ঘণ্টা হয়ে দাঁড়াল?

তাঁর বিদায় নিয়ে জল্পনা আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। ডানা ছাঁটাও চলছিল। কমছিল দলে গুরুত্ব। এবার উপনির্বাচনের ফল কি কার্যত মুকুল রায়ের বিদায়ঘণ্টা হয়ে দাঁড়াল? মমতা থেকে পার্থ, সবার কথায় মিলল তেমনই ইঙ্গিত।  

Updated By: Feb 16, 2015, 08:34 PM IST
উপনির্বাচনের ফল কি কার্যত মুকুল রায়ের বিদায়ঘণ্টা হয়ে দাঁড়াল?

 

ওয়েব ডেস্ক: তাঁর বিদায় নিয়ে জল্পনা আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। ডানা ছাঁটাও চলছিল। কমছিল দলে গুরুত্ব। এবার উপনির্বাচনের ফল কি কার্যত মুকুল রায়ের বিদায়ঘণ্টা হয়ে দাঁড়াল? মমতা থেকে পার্থ, সবার কথায় মিলল তেমনই ইঙ্গিত।  

দলে একসময়ের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে এভাবেই তাচ্ছিল্যভরে উড়িয়ে দিলেন দলনেত্রী। যেন নাম নিতেও অনিহা!
তাও আবার উপনির্বাচনে অভাবনীয় সাফল্যের দিনে।

দলের বক্তব্য, মমতা এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোনও বিকল্পই নেই।   

কয়েকদিন আগেও একই সুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গেল, দলে সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে কেউ নেই।

কিছুদিন আগে পর্যন্তও ভাবা হত, মুকুল রায়ের স্ট্র্যাটেজিতে ভর করেই, একের পর এক নির্বাচনী বৈতরণী পার করছে তৃণমূল। এবার তিনি ছিলেন দর্শকের ভূমিকায়। দলের সঙ্গে দূরত্ব যত বেড়েছে, ততই কমেছে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া। সারদাকাণ্ডে সিবিআই দফতরে হাজিরার পর থেকে কার্যত মুকুল রায়ের ঠিকানা হয়ে দাঁড়িয়েছে দিল্লি। উপনির্বাচনে সবমিলিয়ে সভা করেছেন হাতেগুনে এক-দুটি। এমনকি সোমবার ফল ঘোষণার দিনেও রাজ্য ছেড়ে দিল্লি পাড়ি দিয়েছেন মুকুল রায়। দলের এত বড় জয়েও, তাঁর প্রতিক্রিয়া অতি সংক্ষিপ্ত।

ভোটবাক্সেও এবার তেমন প্রভাব পড়েনি মুকুল-ফ্যাক্টরের। ভোটারদের রায়, তাঁরা তৃণমূলের পাশে। এমনকি, বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কল্যাণী, হরিণঘাটা- যা মুকুল রায়ের  গড় হিসেবে পরিচিত, সেখানেও তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার একরকম অপরিবর্তিত। ২০১৪ যা ছিল, এবারও তার আশেপাশেই রয়ে গেছে সংখ্যাটা। মুকুল রায়কে ছাড়াই।   
দলে অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা অবশ্য তৃণমূল মানতে নারাজ।

নেত্রীর অবজ্ঞা, নেতাদের অবহেলা। এসবই কি তাহলে দলে মুকুল রায়কে আরও গুরুত্বহীন করে দেওয়ার কৌশল? দল থেকে মুকুল বিদায়ের পূর্বাভাস?  
 

.