ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে এলেন না বেশিরভাগ কংগ্রেস নেতাই
কংগ্রেসে যেন উলটপুরাণ। দলে দলে জন প্রতিনিধি যখন দল ছাড়ছেন, তখই ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে হল ভরালেন ছোটরা। কিন্তু তাতে আর কী! কর্মীদের উত্সাহ দিতে এলেন না বেশিরভাগ নেতাই।
ওয়েব ডেস্ক: কংগ্রেসে যেন উলটপুরাণ। দলে দলে জন প্রতিনিধি যখন দল ছাড়ছেন, তখই ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে হল ভরালেন ছোটরা। কিন্তু তাতে আর কী! কর্মীদের উত্সাহ দিতে এলেন না বেশিরভাগ নেতাই।
কংগ্রেসে এখন ঘর ছাড়ার পালা। প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও জনপ্রতিনিধি দল ছাড়ছেন। দল ছাড়ছেন নেতারা। কেউ বা দল ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন এক সময়ই ছাত্র পরিষদের জন্মদিনের অনুষ্ঠান। রবিবার। কলেজ-ইউনিভার্সিটি বন্ধ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ শুক্রবারই এই অনুষ্ঠান সেরে রেখেছে। কিন্তু দিন বদলে রাজি হয়নি ছাত্র পরিষদ। তাই রবিবারই মহাজাতি সদনে অনুষ্ঠান।
সকাল ১১টার মধ্যেই ভর্তি হয়ে গেল হল। সময় বাড়তে বাড়ল ভিড়ও। এ যেন একেবারে উল্টো স্রোত। নাচতে নাচতে পতাকা হাতে ছাত্ররা আসছেন। চলছে স্লোগান। কিন্তু নেতারা কই? প্রদীপ ভট্টাচার্য, মায়া ঘোষ, অসিত মিত্র আর শুভঙ্কর সরকার, সকাল থেকেই মঞ্চে। শেষের দিকে এলেন অভিজিত্ মুখার্জিও। দিল্লি থেকে প্লেন মিস করায় পৌছতে পারেনি অধীর চৌধুরী। বক্তৃতা দিলেন ফোনে। কিন্তু কোথায় গেলেন বাকি নেতারা? কংগ্রেসের এখন ৪৩জন বিধায়ক। ২জন ছাড়া কাউকে দেখা গেল না।
মানস ভুঁইঞা। অনুপস্থিত। এই মঞ্চ থেকে বারবার তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে গড়া চড়িয়েছেন। এবার দেখা মিলল না।
আব্দুল মান্নান। বিরোধী দলনেতা। অনুপস্থিত। দেখা গেল না তাঁকেও।
দীপা দাশমুন্সি। অনুপস্থিত। কেন এলেন না কেউ জানে না।
আরও পড়ুন নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে এল মাদার ডেয়ারি
সোমেন মিত্র। অনুপস্থিত। প্রতিবার আসেন। এবার তিনিও নেই।
অরুনাভ ঘোষ। অনুপস্থিত। হল গরম করা বক্তৃতা করেন। এবার তিনিও এলেন না।
তালিকটা আরও দীর্ঘ হতে পারে। দলের বাকি সাংসদরাই বা গেলেন কোথায়? প্রদীপ ভট্টাচার্য বক্তব্যে অনেক ক্ষোভ। নেতারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বললেই উঠল স্লোগান। ক্যাম্পাসে এদের অনেকই ঢুকতে পারেন না। তবু এলেন সেই ছাত্ররা। উত্সাহে ঘাটতি নেই। তবে তাদের পথ দেখাতে কংগ্রেস নেতারা কতটা উত্সাহী। ফের তা স্পষ্ট হল রবিবার।
আরও পড়ুন কলকাতার কর্মীদের জন্য চালু হতে চলেছে কর্পোরেট ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম