অফিসারকে পৃষ্ঠপোষকতা, মেয়রের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ পারিষদরা

খোদ মেয়রের বিরুদ্ধেই কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন মেয়র পারিষদরা। যে কারণে সরে যেতে হচ্ছে কলকাতা পুরসভার এক মেয়র ঘনিষ্ঠ অফিসারকে। রাজ্য সরকার তাঁকে বদলির নির্দেশ দিয়েছিল। মেয়র নিজের প্রভাব খাটিয়ে নতুন পদ তৈরি করে তাঁকে রেখে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত পারিষদদের বাধায় তা হল না।

Updated By: Nov 3, 2012, 09:41 AM IST

খোদ মেয়রের বিরুদ্ধেই কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন মেয়র পারিষদরা। যে কারণে সরে যেতে হচ্ছে কলকাতা পুরসভার এক মেয়র ঘনিষ্ঠ অফিসারকে। রাজ্য সরকার তাঁকে বদলির নির্দেশ দিয়েছিল। মেয়র নিজের প্রভাব খাটিয়ে নতুন পদ তৈরি করে তাঁকে রেখে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত পারিষদদের বাধায় তা হল না।
কলকাতা পুরসভার জয়েন্ট মিউনিসিপ্যাল কমিশনারকে বদলির নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাঁকে বদলি করা হয় কলকাতা এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টে। গত পয়লা নভেম্বর থেকে সহিদুল ইসলামের সেখানে কাজে যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু সেদিনই কলকাতা পুরকমিশনার একটি নির্দেশিকা জারি করেন। পুরকমিশনারের ওই নির্দেশিকা অনুসারে দেখা যাচ্ছে, সহিদুল ইসলামকে জয়েন্ট মিউনিসিপ্যাল কমিশনার স্পেশাল পদে নিয়োগ করা হল। এই স্পেশাল পদটি তৈরি হল। শুধু তাই নয়, কমিশনার পুরসভার সব বিভাগীয় প্রধানদের লিখিতভাবে জানাচ্ছেন, তাঁর অবর্তমানে পুরসভার যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এই স্পেশাল কমিশনার। এই নির্দেশিকায় কমিশনার জানিয়ে দেন, মেয়রের ইচ্ছাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুরসভার অন্দরমহলের অভিযোগ, এই স্পেশাল কমিশনারের হাতে এমনকিছু বিভাগ দেওয়া হয়েছে, যাতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া মেয়র ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সবথেকে বেশি অঙ্কের টাকা যে প্রকল্পে ব্যয় হয় সেই জেএনএনইউআরএম এবং সাধারণ প্রশাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলিও তাঁর হাতেই রাখা হয়েছে। আর এরপরেই মেয়রের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন মেয়র পারিষদরা। শুক্রবার পুরসভার মেয়র পরিষদের বৈঠকে তাঁরা এই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হন। শেষ পর্যন্ত পারিষদদের চাপে পড়ে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বদল করেন মেয়র। সাহিদুল ইসলামকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেই কলকাতা এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টেই।

.