বয়স হয়েছে রেকের, পথ চলতে চলতেই ধুঁকছে মেট্রো
প্রায় প্রতিদিনই খারাপ হচ্ছে একটা না একটা রেক। যে এসি মেট্রোয় আরামের আশা নিয়ে লোক চড়ে সেই এসি মেট্রোই গত কয়েকদিনে দুর্ভোগের অন্য নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কেন। সমস্যা কোথায়?
ওয়েব ডেস্ক: প্রায় প্রতিদিনই খারাপ হচ্ছে একটা না একটা রেক। যে এসি মেট্রোয় আরামের আশা নিয়ে লোক চড়ে সেই এসি মেট্রোই গত কয়েকদিনে দুর্ভোগের অন্য নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কেন। সমস্যা কোথায়?
মেট্রোতে এই মুহুর্তে এসি রেক চলে তেরোটা। অফিসের সময়ে এই এসি রেকের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। কিন্তু গত কয়েকদিনে এই এসি রেকের যান্ত্রিক ত্রুটি বারেবারেই ভুগিয়েছে যাত্রীদের। গত ২১ জুলাই এসি ১২ ট্রেনটি সকালে একবার খারাপ হয়ে সারাতে যায় কারশেডে। পরেরদিন কারশেড থেকে ফিরে সকালে যখন চলা শুরু করে তখন ফের খারাপ হয়। আবার যায় কারশেডে। কারশেড থেকে ফিরে পরেরদিন যখন আবার চলা শুরু করে তখন আবার খারাপ হয়। আর এই খারাপ হওয়ার জেরে প্রত্যেকবারই ভুগতে হয়েছে সেইসব যাত্রীদের, যারা রীতিমত টিকিট কেটে উঠেছিলেন ট্রেনে।
স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে খারাপ হয়ে প্রত্যেকবারই যখন ট্রেন যাচ্ছে কারশেডে তখন সেখানে ঠিকমতো রক্ষনাবেক্ষন হচ্ছে না। কিন্তু কেন। প্রতিটি ট্রেন নির্দিষ্ট সময় চলার পরে তাকে কারশেডে পাঠাতে হয় পরীক্ষার জন্য। সেক্ষেত্রে মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল দুটো পরীক্ষাই হয়। তথ্য বলছে অফিস টাইমে ৫ মিনিট অন্তর ট্রেন চালাতে প্রয়োজন কম বেশি ২৪টি ট্রেন। এসি ও নন এসি মিলিয়ে মেট্রোর হাতে এই মুহুর্তে ২৬টি ট্রেন আছে। যার মধ্যে পুরোনো ট্রেনের সংখ্যা ১৩টি।
এইগুলির মধ্যে বয়সের কারণে একাধিক ট্রেন মাঝেমাঝেই খারাপ থাকে। তাই অফিস টাইমে এসি রেক খারাপ থাকলে তা দ্রুত সারানোর তাড়া থাকে। এমনকি নির্দিষ্ট সময় অন্তর তা পরীক্ষার জন্য সময়ও মেন কম। ফলে দ্রুত সারানোর দরকার। দরকার প্রচুর কর্মীর। কিন্তু সমস্যা এখানেও। সূত্র বলছে রক্ষনাবেক্ষনে এই মুহুর্তে মেট্রোয় কর্মী সংখ্যা প্রায় তিরিশ শতাংশ কম। অতএব যা হওয়ার তাই হচ্ছে। সমস্যা থেকে যাচ্ছে গভীরেই। আর ভুগতে হচ্ছে যাত্রীদের।