Coal Scam: কয়লাকাণ্ডে সিজিওতে মেনকা, পাল্টা ইডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলাও
ব্যাংকক যাওয়ার পথে আটকায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালতের এমন নির্দেশ না থাকা সত্বেও কীভাবে তা করল তদন্তকারী সংস্থা? এই প্রশ্ন তুলেই মামলা।
পিয়ালি মিত্র: নতুন সময়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছলেন মেনকা গম্ভীর। নতুন নোটিসে সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের শ্যালিকাকে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়। সেইমতো এদিন ফের ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পৌঁছেছেন মেনকা গম্ভীর। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২১-এ দু'বার পঞ্চসায়রে তাঁর আবাসনে গিয়ে কয়লা পাচারকাণ্ডে দু'দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এরপরই গত সপ্তাহে তাঁকে হাজিরার জন্য নোটিস পাঠায় ইডি। কয়লাকাণ্ডে টাকার লেনদেনের তদন্ত করছে ইডি। সেই তদন্তে তাদের হাতে আসে কিছু বৈদেশিক ব্যাংকে লেনদেনের তথ্য। যে সূত্র ধরেই মেনকা গম্ভীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইডি।
তবে রবিবার অবশ্য মধ্যরাতে নোটিস নাটক চলে! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে নোটিস, মধ্যরাতে জনশূন্য ইডি দফতরে হাজিরা, বিভ্রান্তি সংশোধন করে ফের নোটিস, সব মিলিয়ে একেবারে টান টান চিত্রনাট্য। নোটিসে লেখা ছিল, হাজিরার সময় রাত সাড়ে ১২টা। রবিবার মধ্যরাতে তাই সাড়ে ১২টার সময় নিজের আইনজীবীকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেও যান মেনকা গম্ভীর। যদিও তখন ইডি দফতরে কেউ ছিল না। এরপরই আজ ফের নতুন করে নোটিস পাঠানো হয় মেনকা গম্ভীরকে। যেখানে উল্লেখ করা হয়, আজ বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। আগের নোটিসে টাইপের গন্ডগোল ছিল বলেও স্বীকার করে নেয় ইডি। প্রসঙ্গত, আগের নোটিসে '১২.৩০ এএম' লেখা ছিল।
প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে বাধা দেয় ইডি। বিদেশ যাওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয় তাকে। একটি মানি লন্ডারিং মামলায় তদন্তে যোগ দেওয়ার জন্য সমন হস্তান্তর করা হয় তাঁকে। রাত ৯টা নাগাদ ব্যাংকক যাওয়ার বিমানে উঠতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন গম্ভীর। তারপরই তাঁকে আটকায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার (এলওসি)-ও জারি করে। যার ভিত্তিতেই অভিবাসন দফতর তাঁর ছাড়পত্র প্রত্যাখ্যান করে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে বাধা দেয়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) জানায়। এরপরই ইডি বিমানবন্দরে পৌঁছয়।
যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে ফের মামলা ঠুকলেন মেনকা গম্ভীর। আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করলেন অভিষেকের শ্যালিকা। ব্যাংকক যাওয়ার পথে আটকায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালতের এমন নির্দেশ না থাকা সত্বেও কীভাবে তা করল তদন্তকারী সংস্থা? এই প্রশ্ন তুলেই মামলা।