১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে মদন
সারদা দুর্নীতিতে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে জড়িত মদন মিত্র। আমানতকারীদের টাকা রাখতে প্রলুব্ধ করেছেন তিনি। বিনিময়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা। আদালতে এমনই এই দাবি করল সিবিআই। এদিন চার দিনের জন্য মন্ত্রীর সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত।
কলকাতা: সারদা দুর্নীতিতে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে জড়িত মদন মিত্র। আমানতকারীদের টাকা রাখতে প্রলুব্ধ করেছেন তিনি। বিনিময়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা। আদালতে এমনই এই দাবি করল সিবিআই। এদিন চার দিনের জন্য মন্ত্রীর সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত।
শনিবার আদালতের বাইরে যখন তুলকালাম বিক্ষোভ, তখন ভিতরেও চলেছে আরেক নাটক...
মদন মিত্রের সমর্থনে জড়ো হওয়া আলিপুর ও ব্যাঙ্কশাল কোর্টের প্রায় পঞ্চাশ-ষাট জন আইনজীবীর চিত্কারে এদিন মুখ খুলতেই পারেননি সিবিআইয়ের আইনজীবী। সবকিছু যা লিখিত আকারে আনা হয়েছিল। বিচারকের কাছে তাই জমা করে দেন গোয়েন্দারা।
সিবিআইয়ের বক্তব্য, নিজের ভাবমূর্তি ব্যবহার করে মদন মিত্র আমানতকারীদের সারদায় টাকা রাখার জন্য প্রলুব্ধ করেছেন। যার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন সারদা থেকে। উচ্চাকাঙ্খা থেকেই এই কাজ করেছেন তিনি। সুদীপ্ত সেন-মদন মিত্রের মধ্যে এটি একটি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র। ওঁনাকে জামিন দেওয়া হলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার আশঙ্কা রয়েছে। আশঙ্কা থাকছে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হওয়ারও।
এদিন সবার আগে অবশ্য আদালতে বক্তব্য রাখেন মদন মিত্র নিজে।
হাত জোড় করে মন্ত্রী বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই চলছিল। সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর রাজীব কুমার সিং বলেছিলেন আপনি অপেক্ষা করুন, চা খান। স্টেটমেন্ট রেকর্ড করা হলে চলে যাবেন। আমি চা খাচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পর এক জেন্টলম্যান এসে আমাকে বললেন, আমরা দুঃখিত। দিল্লি থেকে আপনাকে গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রীর গ্রেফতারিতে কোনও অনিয়ম হয়নি, এদিন আদালতে একথা বলেছে সিবিআই। লিখিতভাবে জয়েন্ট ডিরেক্টর জানিয়েছেন, গ্রেফতারের পরই স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারকে ই-মেল এবং ফ্যাক্স করে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। দু জনের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা হয়েছিল।
প্রায় পৌনে দু ঘণ্টার এই ঘটনা পরম্পরায় ইতি পড়ে আদালতের রায়ের পর। আদালত ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মদন মিত্রের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।