“সরকারি সম্পত্তি অনেকে নিজের নামে করছে, তদন্ত হবে”, কাউন্সিলরদের হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এদিনের বৈঠক থেকে তিনি বলেন, “ জণগণের থেকে টাকা নেবেন না। এলাকায় বদনাম হলে, তার দায় কাউন্সিলরদেরই। কিন্তু অনেক কাউন্সিলরের জন্য দলের বদনাম হচ্ছে।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: “সরকারি সম্পত্তি অনেকে নিজের নামে করছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আলাদা তদন্ত হবে।” নজরুল মঞ্চের বৈঠক থেকে কাউন্সিলরদের বার্তা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
অর্থাত্ দলের অন্দরেই যে দুর্নীতি হচ্ছে, তা একপ্রকার মেনে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সমস্যার সমাধান কীভাবে সম্ভব, তারও পথ বাতলে দিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আবারও বলেন, "চোরেদের দলে নেব না।" এদিনের মঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, "অনেকে ভাবেন টাকা নেওয়াটাই হয়তো ধর্ম। কিন্তু তাঁদেরকে বোঝাতে হবে, এই টাকা সরকারের টাকা, জণগণের টাকা।''
এদিনের বৈঠক থেকে তিনি বলেন, “ জণগণের থেকে টাকা নেবেন না। এলাকায় বদনাম হলে, তার দায় কাউন্সিলরদেরই। কিন্তু অনেক কাউন্সিলরের জন্য দলের বদনাম হচ্ছে।” তিনি বলেন, “চুরি করে অনেকেই দল বদল করে নিচ্ছেন। কিন্তু তাতে তাঁরা পার পাবেন না। ” এদিন কাউন্সিলরদের তিনি বলেন, "আমি জানি, অনেক সময়ই পার্টি অফিসে লোক ঢুকে বাজে ব্যবহার করে। তবে আমি বলে রাখি, রাজনৈতিক নেতাদের গালাগালি খেতে হয়। এটা শিখে নিন।"
ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে গিয়ে সাধারণ মানুষদের অবহেলা বরদাস্ত নয়: সুপ্রিম কোর্ট
কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বারবার বার্তা দেন, “তৃণমূলকে দুর্বল দল ভাবলে ভুল করবেন। যাঁরা অন্য দলে যাওয়ার তাড়াতাড়ি যান। ১ জন গেলে আমি ৫০০ জনকে তৈরি করব।” এদিন তিনি বলেন, “বিকাশবাবুর স্ত্রীকে টিকিট না দিয়ে ভুল করেছি।” প্রসঙ্গত, কাঁছড়াপাড়ায় তৃণমূল নেতা বিকাশ বসুর খুনের প্রসঙ্গে তুলে আনেন তিনি। ১৮ বছর আগে খুন হয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে আমরাও ভুল করেছি। বাবা দল করত বলে, ছেলেকেও টিকিট দিয়েছি। সেটা আমাদের ঠিক হয়নি।”
তিনি বলেন, “চুরি করে ধরা পড়লেই লোকে অন্য দলে চলে যাচ্ছে। তাতে কি আপনি বাঁচবেন?” ফিরহাদ হাকিমকে তিনি নির্দেশ দেন, “প্রত্যেক ঘটনার আলাদা তদন্ত করা হোক। কাউকে ক্ষমা করা হবে না।”