মণিরুলকাণ্ডের তদন্তেও ক্ষুব্ধ আদালত
খুনের মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলাম
পাড়ুইকাণ্ডের মতো লাভপুরকাণ্ডেও অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। লাভপুরে তিনজনকে পিটিয়ে খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। মামলা শুরুর চার বছর পরেও পেশ হয়নি চার্জশিট। রেকর্ড করা হয়নি অভিযোগকারীর বয়ান। ফলে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আজ তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। এই মামলায় পেশ করা পুলিসের স্টেটাস রিপোর্টেও ক্ষুব্ধ আদালত।
২০১০ সালে বীরভূমের লাভপুরে এক সালিশি সভায় ডেকে আনা হয় চার ভাইকে। এদের মধ্যে তিনজনকে পিটিয়ে খুন করা হয় সালিশি সভাতেই। বেঁচে যান এক ভাই। এই খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। আইন-আদালতকে তিনি যে আদৌ তোয়াক্কা করেন না, তার প্রমাণ এই বিধায়ক নিজেই। প্রকাশ্য জনসভায় খুনের কথা ঘোষণা করেছেন সদম্ভে।
ঘটনার পর কেটে গেছে চার বছর। এখনও মামলার চার্জশিটই পেশ করতে পারেনি পুলিস। রেকর্ড করা হয়নি অভিযোগকারীর বয়ানও। কেন পুলিসের এই গ়ডিমসি? ঠিক এখানেই আদালতের প্রশ্নের মুখে প্রশাসন। এমনকি এই মামলার তদন্তের পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই মামলার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত।
হাইকোর্ট এই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে বারবার অসন্তোষ প্রকাশ করলেও শাসকদলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভায় প্রায়ই দেখা গিয়েছে বীরভূমের প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতাকে। বুধবার মঙ্গলকোটে তৃণমূলের প্রচারসভায় অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই দেখা গেছে মণিরুল ইসলামকে। প্রশ্ন উঠছে খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কেন তাকে গ্রেফতার করছে না পুলিস ? শাসকদলের প্রভাবশালী নেতা এবং জনপ্রতিনিধি হওয়ার কারণেই কি তিনি আইনের উর্ধ্বে?