Primary TET Scam: মিথ্যে বলে ৩ বছর আগে মৃত ব্যক্তির নামে ব্যাংকে কেওয়াইসি করেন মানিকের স্ত্রী! বিস্ফোরক ইডি

 ২০১৬ সালে প্রয়াত হন মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্য়ায়। আর এদিকে একজন মৃত মানুষের নামে ব্যাংকে কেওয়াইসি জমা পড়ে ২০১৯-এ। জানতেন না তাঁর ছেলেও।

Updated By: Oct 28, 2022, 06:31 PM IST
Primary TET Scam: মিথ্যে বলে ৩ বছর আগে মৃত ব্যক্তির নামে ব্যাংকে কেওয়াইসি করেন মানিকের স্ত্রী! বিস্ফোরক ইডি

বিক্রম দাস: আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির। মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যের নামে বিস্ফোরক অভিযোগ। অভিযোগ, তিনি মিথ্যে বলে একজন মৃত ব্যক্তির নামে ব্যাংকের কেওয়াইসি করিয়ে নেন। শতরূপা ভট্টাচার্যের নামে একটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যে অ্যাকাউন্টে ২ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টে ফার্স্ট হোল্ডার হিসেবে নাম রয়েছে মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্য়ায়ের। এখন এই মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্য়ায়ের মৃত্যু হয়েছে বছর তিনেক আগেই। কিন্তু সেকথা ব্যাংকে জানানি শতরূপা দেবী। মৃত্যুঞ্জয় বাবু বাইরে রয়েছেন বলে ব্যাংকে নিজেই কেওয়াইসি করে নেন। এমনকি, সঞ্জয় চট্টোপাধ্য়ায় যিনি এই মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্য়ায়ের ছেলে, তিনিও জানতেন না তাঁর বাবার নামে এই অ্যাকাউন্টের কথা। 

জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে প্রয়াত হন মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্য়ায়। আর এদিকে একজন মৃত মানুষের নামে ব্যাংকে কেওয়াইসি জমা পড়ে ২০১৯-এ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর আয়ের উৎস কী? তাঁর নামে এত টাকা কোথা থেকে এল? ইডি সূত্রে খবর, ২০২০ থেকে ২০২১, অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অ্যাসোসিয়েশনের প্রত্যেক পড়ুয়ার কাছ থেকে অনলাইনে ক্লাসের নামে ৫০০ টাকা করে চার্জ করা হয়েছিল। মোট বেআইনি আয়, দুর্নীতির সাড়ে ৪ কোটি টাকা গিয়েছে মানিকের ছেলের অ্যাকাউন্টে। আর বাকি টাকা স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে। এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা।

প্রসঙ্গত,  প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের আদেশের উপরে স্থাগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের অপসারণের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। কলকাতা হাইকোর্টের ওই কড়া রায়কে আমল দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। যদিও, মানিক ভট্টাচার্যের ইডি হেফাজত-ই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। এখন তাঁর জামিন মঞ্জুর হয় কিনা, সেটাই দেখার। প্রাইমারি টেট কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের। তাঁর বিরুদ্ধে প্রাইমারিতে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি হয়েছে। জুলাইয়ে মানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার নথিতেই লুকিয়ে রয়েছে সেই সমস্ত প্রমাণ। সূত্রের খবর, এমনটাই দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। এমনকি মানিক ভট্টাচার্য বকলমে বহু টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট চালাতেন বলেও অভিযোগ।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.