Manik Bhattacharya: 'কনফিডেন্সিয়াল প্রসেসর' এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে রহস্যজনক ডিল মানিকের!
রত্না বাগচী বলেন, 'এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি কে বা কারা চালায়, তা একমাত্র মানিকবাবু জানেন। আমরা জানতাম কনফিডেন্সিয়াল প্রসেসর বলে কাউকে মেল করা হচ্ছে এবং মেল আসছে।'
![Manik Bhattacharya: 'কনফিডেন্সিয়াল প্রসেসর' এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে রহস্যজনক ডিল মানিকের! Manik Bhattacharya: 'কনফিডেন্সিয়াল প্রসেসর' এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে রহস্যজনক ডিল মানিকের!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/04/12/415709-manik-bhattacharya.jpg)
বিক্রম দাস: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নাইসার মতোই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিও। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছিল এই সংস্থার নাম। এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না বাগচী চক্রবর্তীকে এই সংস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্যর ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা সচিব।
ইডি সূত্রে খবর, রত্না বলেন, 'মানিকবাবু-ই সব জানতেন। পুরো ডিলটাই ছিল রহস্যে মোড়া। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি কে বা কারা চালায়, তা একমাত্র মানিকবাবু জানেন। তিনি-ই নির্দেশ দিতেন, তিনিই দেখা করতেন। আমরা জানতাম কনফিডেন্সিয়াল প্রসেসর বলে কাউকে মেল করা হচ্ছে এবং মেল আসছে। এর বাইরে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামে ওই সংস্থার ব্যাপারে আমরা কিছু জানতাম না।'
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৫ এপ্রিল, মানিক ভট্টাচার্যকে এজলাসে ডেকে পাঠিয়ে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি সম্পর্কে জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেদিন মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে একান্তে ১০ মিনিট কথা বলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়। ২০১৬-র নিয়োগ নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারপতি। বাইরের কোনও সংস্থাকে কাজে লাগানো হয়েছিল কিনা, জানতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। সেইসময় মানিক বন্দ্যোপাধ্য়ায় উত্তরে জানান, সংস্থার নাম মনে নেই। নাম শুনলেও, তিনি নিশ্চিত নন।
টেন্ডার ছাড়াই ২০১৪ সালে টেটের উত্তরপত্র মূল্যায়ণের বরাত পেয়ে গিয়েছিল এক বেসরকারি সংস্থা! শুধু তাই নয়, ১০ লক্ষ টাকা অগ্রিমও দেওয়া হয়েছিল ওই সংস্থাকে! প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে সেই চাঞ্চল্যকর তথ্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই-এর জেরার মুখে মানিক ভট্টাচার্য জানান,
কেন এস বসু রায় এন্ড কোম্পানীকে 'কনফিডেন্সিয়াল সেকশন' বলা হত?
মানিক: বোর্ডের কাজের জন্য আলাদা কম্পিউটার, 'কনফিডেন্সিয়াল প্রিন্টার- প্রসেসর' দেওয়া হয়েছিল ওই সংস্থাকে। ওএমআর সংক্রান্ত কাজের জন্য সেই সব কনফিডেন্সিয়াল সামগ্রী ব্যবহার করত তারা।
টেন্ডার ছাড়াই কেন বরাত দেওয়া হয়েছিল?
মানিক: ২০১২ সালে টেন্ডার ডাকা হয়। এরপর কাজ লাগায় ২০১৪ সালে টেন্ডার ছাড়াই এস বসু রায় এন্ড কোম্পানিকে কাজের বরাত দেওয়া হয়। বোর্ডের লোকজন কম। সেকারণেই ওই সংস্থাকে দিয়ে গোপন কাজও করানো হত।