সাধারণ ধর্মঘট ব্যর্থ করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার
বনধ ভাঙতে ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় কোনও বনধ করতে দেবেন না তিনি। কুড়ি ও একুশ তারিখ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের দিন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ছুটি মঞ্জুর হবেনা বলে মহাকরণে আজ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন মুখ্যসচিব।
কুড়ি এবং একুশ তারিখের সাধারণ ধর্মঘট ব্যর্থ করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। আগামিকাল এই নিয়ে বাস, মিনিবাস এবং ট্যাক্সিমালিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক ডেকেছেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। তবে পরিবহণ মালিকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, ধর্মঘটের দিন গাড়ি ভাঙচুর হলে বিমার টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে।
বনধ ভাঙতে ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় কোনও বনধ করতে দেবেন না তিনি। কুড়ি ও একুশ তারিখ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের দিন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ছুটি মঞ্জুর হবেনা বলে মহাকরণে আজ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন মুখ্যসচিব।
ফের বনধ রুখতে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। আরও একধাপ এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা বনধে সম্পত্তি নষ্ট হলে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই মহাকরণে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,আগামী কুড়ি ও একুশ তারিখ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ধর্মঘটের দিন কোনও রাজ্য সরকারি কর্মচারীর ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। বনধ ভাঙতে মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেছেন সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর বনধ ভাঙার জন্য সক্রিয় হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বনধে অফিস, স্কুল কলেজে না আসলে শুধু বেতন কাটা নয়, কড়া শাস্তিরও হুমকি শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। কিন্তু, শেষপর্যন্ত আইনি জটিলতার কারণে বেতন কাটা হলেও, শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি কোনও ধর্মঘটীকে। এবার অবশ্য শাস্তির হুমকি শোনা যায়নি মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।