এসএসকেএম-এ মুখ্যমন্ত্রী, হাড়ে হাড়ে টের পেলেন এসএসকেএম-এ আসা রোগীরা
এসএসকেএম-এ মুখ্যমন্ত্রী আসবেন তা আগে থেকেই ঠিক ছিল। কিন্ত মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে থাকা ভিড় সামলাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যে আদৌ প্রস্তুতি ছিল না তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন এসএসকেএম-এ আসা রোগী ও তাদের আত্মীয়রা। পরিস্থিতি এমনই হয় যে, রাস্তায় পড়ে থাকা রোগীকে নিয়ে যেতে স্ট্রেচার চেয়েও পাননি খোদ রাজ্যের পুরমন্ত্রী।
ওয়েব ডেস্ক: এসএসকেএম-এ মুখ্যমন্ত্রী আসবেন তা আগে থেকেই ঠিক ছিল। কিন্ত মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে থাকা ভিড় সামলাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যে আদৌ প্রস্তুতি ছিল না তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন এসএসকেএম-এ আসা রোগী ও তাদের আত্মীয়রা। পরিস্থিতি এমনই হয় যে, রাস্তায় পড়ে থাকা রোগীকে নিয়ে যেতে স্ট্রেচার চেয়েও পাননি খোদ রাজ্যের পুরমন্ত্রী।
হাসপাতালে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝটিকা সফরের মাঝেই পর পর তিন তিনটি উদ্বোধন সেরে নেবেন। সকাল সকাল পৌছে গিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তারা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ভিড়ের চাপে রোগীদের কী হবে তা নিয়ে আদৌ কোনও বাড়তি ব্যবস্থা চোখে পড়েনি।
রোগীরা ফলটা টের পেলেন হাতেনাতে। এসএসকেএমে নতুন পেডিয়াট্রিক ক্যাথ ল্যাব উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর চলে যান ইন্সস্টিটিউট অব সাইকিয়াট্রি বা আইওপি। সেখানে ছিল নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন ও অ্যাডভান্সড স্লিপ ল্যাবের উদ্বোধন।
মুখ্যমন্ত্রী ঢোকার পরই হাসপাতালে রোগীদের ঢোকা আটকে দেওয়া হয়। আইওপি গায়ে গায়ে বাঙ্গুর ইন্সস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স। সেখানেও সেই সময় রোগীরা আর ঢুকতে পারেননি।
গাড়িতে করে রোগী নিয়ে এসেও আটকে থাকতে হয় গেটের বাইরে। পরিষেবার অবস্থা যে কতটা করুণ তা চোখে আঙুল দেখিয়ে দেয় আর একটি ঘটনা।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘুরে যাওয়া পর রাস্তায় পড়ে থাকা এক রোগীকে দেখে এগিয়ে যান খোদ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রী স্ট্রেচারে করে ওই রোগীকে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তাও অবশ্য জোগাড় করে উঠতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত নিজের গাড়িতে তুলে নিয়েই ওই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় পুরমন্ত্রীকে।