হত্যার ষড়যন্ত্রে অনড় মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধীদের দাবি নিরপেক্ষ তদন্ত
নিজের অবস্থানে অনড় মুখ্যমন্ত্রী। রবিবারও হত্যার ষড়যন্ত্রের তত্ত্বই দিলেন জঙ্গিপুরের নির্বাচনী জনসভায়। অথচ, বিরোধীদের দাবি মেনে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার ব্যাপারে অদ্ভুত ভাবে এখনও নীরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার অভিযোগ আনছে কংগ্রেস ও বামশিবির।
নিজের অবস্থানে অনড় মুখ্যমন্ত্রী। রবিবারও হত্যার ষড়যন্ত্রের তত্ত্বই দিলেন জঙ্গিপুরের নির্বাচনী জনসভায়। অথচ, বিরোধীদের দাবি মেনে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার ব্যাপারে অদ্ভুত ভাবে এখনও নীরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার অভিযোগ আনছে কংগ্রেস ও বামশিবির।
বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৭ তারিখ রাতে মালদায় মুখ্যমন্ত্রীর হোটেলের ঘরের এসিতে হঠাৎই বিস্ফোরণ, অগ্নিকাণ্ড। তার পর দিন, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর সভার পথে বীরভূমের সলখানায় বিস্ফোরক উদ্ধার করলেন তৃণমূল কর্মীরা। সে দিনই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনলেন এক নির্বাচনী জনসভায়।
তবে শাসক দলের নেতাদের মতো সব বিরোধী দলই যথাযথ তদন্তের দাবি তোলে। মালদার ঘটনার পর নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যে হোটেলে ছিলেন সেটি কমিশন বুক করায়নি। তাই কোনোভাবেই হোটেলে যা হয়েছে তার দায়িত্ব কমিশনের নয়। যিনি জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান, তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব কমিশনের নয়। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে বীরভূমের সভা শেষে শুক্রবার সন্ধেয় মালদার সেই হোটেলেই ফিরে যান মুখ্যমন্ত্রী। উনিশ তারিখ, অর্থাত্ শনিবার, চাকুলিয়া, রায়গঞ্জ এবং ইংরেজ বাজারের জনসভাতেও সেই ষড়যন্ত্রের কথাই শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার জঙ্গিপুরের জনসভাতে গিয়েও দেখা গেল, নিজের অবস্থানে মুখ্যমন্ত্রী অনড়। ষড়যন্ত্রের তত্ত্বকেই আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইছেন।
কিন্তু একসুরে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চাইছেন বিরোধীরা। অথচ হাত গুটিয়ে সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই তো পুলিস দফতর। তা হলে তাঁকেই খুনের ষড়যন্ত্রের মতো গুরুতর ঘটনায় কেন উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী? তবে কি বিরোধীরা যা বলছেন, সেটাই সত্যি? ষড়যন্ত্রের গল্প ফেঁদে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী?