অর্মত্য সেনের বাড়িতে বুলডোজার চালাতে এলে আমি বুক পেতে দেব: মমতা
সাংবাদিক সম্মেলনে সেই জমি বিতর্কেই আরও একবার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থনীতিবিদকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হেনস্থা করে বলে অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘অমর্ত্য সেনের বাড়িতে বুলডোজার চললে আমি ওখানে গিয়ে প্রথম ধর্না দেব। দেখব কার শক্তি বেশি। বুলডোজার না মানুষের।’
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রয়েছে অমর্ত্য সেন। এমনটাই অভিযোগ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে। শান্তিনিকেতনে একটি জমির কিছু অংশ ছেড়ে দিতে অমর্ত্য সেনকে চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের লেখা ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে অমর্ত্য সেন জোর করে ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে রেখেছেন। ওই ১৩ ডেসিমেল জমি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নোবেল বিজয়ীর বাবা আশুতোষ সেন ১৯৪৩ সালে ইউনিভার্সিটির কাছ থেকে ১২৫ ডেসিমেল জমি লিজ নিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি। এরপর অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন, Mamata on Police: 'ওইভাবে নিয়ে যাওয়া উচিত হয়নি', মৃতদেহ বহনে থানায় এবার বিশেষ ব্যাগ...
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সেই জমি বিতর্কেই আরও একবার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থনীতিবিদকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হেনস্থা করে বলে অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘অমর্ত্য সেনের বাড়িতে বুলডোজার চললে আমি ওখানে গিয়ে প্রথম ধর্না দেব। দেখব কার শক্তি বেশি। বুলডোজার না মানুষের।’ প্রসঙ্গত, জমি ছাড়ার জন্য বিশ্বভারতীর তরফে উচ্ছেদের নোটিস ধরানো হয়েছে তাঁকে। সেখানে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ না মানলে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ হবে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই নির্দেশে।
সম্প্রতি, অমর্ত্য সেনের জমি প্রসঙ্গে বারবার বিতর্ক হয়েছে। এমনকি অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই বিতর্কিত জমির জন্যই মিউটেশন করার আবেদন করলেন অমর্ত্য সেন। অমর্ত্য সেনের ওই বাড়ির জমি দীর্ঘদিন ধরেই তার বাবার নামে ছিল। এই বিতর্ক এড়াতে নিজের নামে করে মিউটেশন করার জন্য অমর্ত্য সেন আবেদন করেন। এরপর জমি ফেরত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল নোবেলজয়ীকে। এমনকী, অমর্ত্য সেনের নোবেলপ্রাপ্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।