রাজনৈতিক লাভ তোলার চেষ্টা করছিল, মুখোশ খুলে দিয়েছে এনআরসি বিপর্যয়: মমতা
নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমে বিজেপির জন্য ব্যুমেরাং হয়েছে চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অথচ নাগরিকপঞ্জির জোরালো দাবি করেছিল গেরুয়া শিবিরই। এমন পরিস্থিতিতে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ''রাজনৈতিক লাভ তোলার চেষ্টা করা হচ্ছিল, তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে এনআরএসি বিপর্যয়।''
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখেছেন,'রাজনৈতিক লাভ তোলার চেষ্টা করা হচ্ছিল, তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে এনআরসি বিপর্যয়। দেশকে জবাব দিতে তাদের। দেশ ও সমাজের স্বার্থ পরিহার করে অসত্ উদ্দেশ্যে কাজ করলে এমনটাই ঘটে।'
The NRC fiasco has exposed all those who tried to take political mileage out of it. They have a lot to answer to the nation.
This is what happens when an act is guided by an ulterior motive rather than the good of the society and the larger interest of the nation.(1/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 31, 2019
মমতা আরও লিখেছেন,'বাংলাভাষী ভাই-বোনদের জন্য খারাপ লাগছে। জাঁতাকলে পড়ে ভুগতে হয়েছে তাঁদের।'
My heart goes out to all those, especially the large number of Bengali speaking brothers and sisters, who are made to suffer because of this botched-up process.(2/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 31, 2019
অসমে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে প্রশ্ন। খসড়ায় বাদ পড়েছিলেন ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় তা কমে হয়েছে ১৯ লক্ষ। আশ্চর্যের বিষয়, এনআরসি তালিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস-বিজেপি দুপক্ষই। তারা মনে করছে, বৈধ নাগরিকরাই বাদ পড়েছেন। আর ঢুকে পড়েছেন বিদেশিরা। হিমন্ত বিশ্ব শর্মাই প্রশ্ন তুলেছেন, বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁসা দক্ষিণ সালমারা, ধুবড়ির মতো এলাকায় অনুপ্রবেশকারী লোকজনের বাদপড়ার হার সবচেয়ে কম। তার থেকে যেখানে যেসব জেলার প্রকৃত অসমিয়ারা বাস করেন সেখানে বাদ পড়ার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কীভবে এটা হতে পারে? এনআরসি নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যাথা নেই।
আরও পড়ুন- অসমকে বিদেশিমুক্ত করতে পারবে না এনআরসি, ক্ষুব্ধ রাজ্যের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা