"দেশ বিভাজন চলবে না" শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বার্তা দিয়ে যাদবপুর থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু করলেন মমতা
দেশের প্রত্যেকেই সবাই নাগরিক, সর্ব ধর্ম সমন্বয় আদর্শ কাউকে বাংলা ছাড়তে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি শান্তিতে থাকা, দেশ ভাগ হতে না দেওয়া, এবং ঐক্যবন্ধ সংগ্রামের শপথ নিয়ে এবং শঙ্খ ধ্বনির মধ্যে দিয়েই এদিন আন্দোলনের সূচনা করেন নেত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ নজরে দক্ষিণ কলকাতা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার ফের পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ প্রতিবাদ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন। মঙ্গলবার সাড়ে বারোটার পরই যাদবপুরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। "দেশের প্রত্যেকেই সবাই নাগরিক, সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ সামনে রেখে কাউকেই বাংলা ছাড়তে দেওয়া হবে না।" বলেই জানিয়েছেন নেত্রী। পাশাপাশি শান্তিতে থাকা, দেশ ভাগ হতে না দেওয়া এবং ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের শপথ নিয়ে এবং শঙ্খ ধ্বনির মধ্যে দিয়ে এদিন আন্দোলনের সূচনা করেন নেত্রী।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এইট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরু হয়ে ঢাকুরিয়া সেতু হয়ে গোলপার্ক, গড়িয়াহাট রোড, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ধরে ভাবনীপুরের যদুবাবুর বাজারে শেষ হবে মিছিল। এদিন দুপুরে যাদবপুরে পৌঁছে তিনি বলেন, "সংবিধান মেনে সবকিছু করতে হয়। সংবিধান মানছে না কেন্দ্রীয় সরকার। সংখ্যার জোরে আইন পাশ করানো যায় না, কাউকে বাংলা ছাড়তে দেব না।" এদিন আন্দোলন মঞ্চ থেকে ফের শান্তির বার্তাই দিয়েছেন নেত্রী।
তাঁর কথায়, "সারা ভারত জ্বলছে, কিন্তু দেশ বিভাজন করতে দেব না"। NPR, CAA, NRC কোনওটাই বাংলায় হবে না বলেও এদিন ফের স্পষ্ট করেছেন নেত্রী। এদিন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গেও টানেন নেত্রী। গোটা দেশে ছাত্রদের আন্দোলনের সমর্থন জানালেন মমতা। পাশাপাশি বেকারত্ব, পেঁয়াজের দাম এমনকী নোটবন্দির কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন এদিন। যাঁরা হিংসাত্মক কাজ করেছেন ইতিমধ্যেই অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন বলেই এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। মিছিলের স্লোগান নির্ধারণ করে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু করেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্লকে ব্লকে সাজানো হয়েছে মিছিল। রয়েছে যথেষ্ট নিরাপত্তার বেষ্টনীও।