Mamata Banerjee: মন্ত্রী-কাউন্সিলর 'দ্বন্দ্বে' এবার নেত্রীর হস্তক্ষেপ! জাভেদকে কড়া বার্তা মমতার
মন্ত্রী জাভেদ খানের সঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশেনর ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের 'দ্বন্দ্ব'। এর জেরে রবিবার থেকে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। শাসক দলকে টিপ্পনি করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। ফলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, মন্ত্রী-কাউন্সিলরের এই কাজিয়ায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মন্ত্রী-কাউন্সিলর দ্বন্দ্বে এবার হস্তক্ষেপ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। সুশান্ত ঘোষের (Sushanta Ghosh) সঙ্গে কোনও সমস্যা থাকলে, তা কথা বলে মিটিয়ে নিতে হবে। জাভেদ খানকে (Javed Khan) সাফ বার্তা তৃণমূল নেত্রীর।
মন্ত্রী জাভেদ খানের সঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশেনর ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের 'দ্বন্দ্ব'। এর জেরে রবিবার থেকে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। শাসক দলকে টিপ্পনি করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। ফলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, মন্ত্রী-কাউন্সিলরের এই কাজিয়ায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বিরোধীরা আঙুল তোলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থতি সামাল দিতে অবশেষে ক্রিজে নামলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। সোমবার মন্ত্রী জাভেদ খানকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) নির্দেশ দেন, সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে কোনও সমস্যা থাকলে, তা মুখোমুখি বসে কথার মাধ্যমে মিটিয়ে নিতে হবে। এভাবে প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করা যাবে না।
কীভাবে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত?
রবিবার Zee ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরায় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ অভিযোগ করেন, "বারবার প্রচার করা হয়েছিল কসবার হামলা আমার ইন্ধনে হয়েছে। আমার লোকেরা এটা করেছে। আদৌ সেটা নয়। যারা ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে, তাদের পরিচয় জানলেই বুঝতে পারবেন। কসবার যিনি এমএলএ এবং রাজ্যের মন্ত্রী, এরা তাঁর সঙ্গে থাকেন। লোকাল কাউন্সিলরের সঙ্গেও এদের যোগাযোগ রয়েছে। বেনিয়মের রাজত্ব চালু হয়ে গিয়েছিল। জলাজমি ভরাট, ভেরি ভরাট, চার-পাঁচতলা বেআইনি বাড়ি তোলা হত। আমি জেতার পর ওইসব কাজ কারবার বন্ধ করেছি। তাই আমার উপরে আক্রোশ। তাই বারবার আমার বিরুদ্ধে এসব জিনিস হচ্ছে। দল জানে। পরশু দিনের ঘটনা সংবাদমাধ্যমে বেরিয়েছে। তাতে আমার সম্মানহানি হয়েছে। দলকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে রেখেছি। বারবার এসব হচ্ছে। আমরাও পরিবার নিয়ে এই অঞ্চলে থাকি। একটা বাড়িতে ঢিল পড়লে আমার নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।"
মন্ত্রী জাভেদ খানের পাল্টা দাবি
জি ২৪ ঘণ্টাকে জাভেদ খান বলেন, "এনিয়ে কিছু বলার নেই। পুলিস আছে, প্রশাসন আছে। তারা তদন্ত করে দেখবে। এছাড়াও পার্টি আছে। সেখানে ও জানাক। পার্টি তদন্ত করে দেখবে। যদি অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে ব্যবস্থা নেবে। এর বেশি তো আর কিছু নেই। আর আমার সঙ্গে ওঁর সংঘাত কেন হবে? ও আমার তো প্রতিপক্ষ নয়, আমার পার্টির লোক। মিডিয়াতে এসব বলার কী যুক্তি রয়েছে? যদি আমি করে থাকি, তাহলে আমার বিরুদ্ধে কি ওর কাছে প্রমাণ আছে? যদি থাকে পুলিস-প্রশাসনকে তা জানাক! এসব মনগড়া কথা। ও যেসব ব্যবসা করছে তাতে ও ফেঁসে গিয়ে এখন এসব বলছে। নিজের ছেলেদের দিয়ে মানুষের উপরে অত্য়াচার করছে। মানুষ ওর উপরে ক্ষুব্ধ। তাই ও এসব বলছে।"