সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন, ড্যামেজ কন্ট্রোলে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী
শহিদ মিনারে সিদ্দিকুল্লার সভা। আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ, গতবছর এই শহিদ মিনারেই সভা করেছিলেন সিদ্দিকুল্লা। সেদিন নিশানায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে আচমকা কেন ভোল বদল? প্রশ্ন সংখ্যালঘুদের অন্দরেই।
ওয়েব ডেস্ক: শহিদ মিনারে সিদ্দিকুল্লার সভা। আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ, গতবছর এই শহিদ মিনারেই সভা করেছিলেন সিদ্দিকুল্লা। সেদিন নিশানায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে আচমকা কেন ভোল বদল? প্রশ্ন সংখ্যালঘুদের অন্দরেই।
গত বছর ২৯ নভেম্বর। শহিদ মিনারে সিদ্দিকুল্লার সভা। উপচে পড়া ভিড়। সভার মূল স্লোগান ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। আমন্ত্রিত ছিল সব রাজনৈতিক দল। কিন্তু, আসেনি প্রায় কেউই। সে নিয়ে সিদ্দিকুল্লার ক্ষোভ। বেশিরভাগের বক্তৃতাতেই সেদিন টার্গেট ছিল রাজ্য সরকার। নির্দিষ্টভাবে বললে মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু সেদিনই বা কেন, বার বারই সিদ্দিকুল্লাকে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হতে। কিন্তু হঠাত্ ১৮০ ডিগ্রি ভোল বদল। বৃহস্পতিবার শহিদ মিনারে সিদ্দিকুল্লার সভা। আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেন?
গত চারবছরে সংখ্যালঘুদের ক্ষোভের মুখে বার বার পড়তে হয়েছে সরকারকে। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন তহ্বা সিদ্দিকিরা। অনশনে বসেছেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা। পুরভোটে হাতছাড়া হয়েছে বেশকয়েকটি সংখ্যালঘু আসন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ড্যামেজ কন্ট্রোলেই কি সক্রিয় সিদ্দিকুল্লারা? তবে, এই সুযোগকে কাজে লাগাতে যে তৃণমূল মরিয়া সেবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
তৃণমূল নেতৃত্ব বিলক্ষণ জানেন সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরেছে। সভায় দাঁড়িয়ে সেই ভাঙন মুখ্যমন্ত্রী কতটা রুখতে পারেন এখন সেটাই দেখার।