মুখোমুখি মমতা LIVE

Updated By: Aug 29, 2014, 10:46 PM IST
মুখোমুখি মমতা LIVE

এই প্রথম ২৪ ঘণ্টার মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বললেন রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি, ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে। সঙ্গে আমাদের এডিটর ইনপুট অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়।

২৪ ঘণ্টা: সরকারের প্রধান ৩টে কাজ

মুখ্যমন্ত্রী: ৩টে কাজ বলা মুশকিল। সবকাজ নতুন করে করতে হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে সবটাই নতুন করে করতে হয়েছে। গত ৩৪ বছর আগের সরকার কোনও প্ল্যানিংই করেনি। ভাল প্রশাসনের জন্য দরকার স্বল্প মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি, দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা। আগের সরকার সে সব কিছুই করেনি।
শুধু ২ লক্ষ কোটি টাকা দেনা করেছে। FRBM চালু করেনি। আমরা চালু করেছি। ৩ বছর কেন্দ্রের অনুদান পাইনি। কেন্দ্র বঞ্চনা না করলে আরও রঙিন বাংলা গড়তে পারতাম। কেন্দ্র ৪০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। ২০ কোটি ন্যায্য টাকা পেলে আরও উন্নয়ন হত। প্রথম বছর ইনকাম হয়েছে ২১ হাজার কোটি। দ্বিতীয় বছর ২৯ হাজার কোটি ও তৃতীয় বছর ৩৯ হাজার কোটি।

 

 

 

মুখ্যমন্ত্রী- যারা বলছেন এ রাজ্যে উন্নয়ন হয়েনি তাঁরা নিজের রাজ্যে কী করছেন? ২ একটা বাজে ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেসব প্রশ্রয় দিইনি।

>DVC পাওয়ার প্রজেক্ট করছে।

> SEWW প্রজেক্ট করছে

> NTPC কাটোয়ায় প্রকল্প করছে।

> বীরভূমে পাঁচ রাজ্যের সঙ্গে যৌথ উদ্দ্যোগে  কোল বেল্ট তৈরি হচ্ছে।

> ডানকুনি পর্যন্ত ফ্রেট করিডর।

> রেল মন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যকে ১২-১৪টি প্রকল্প দিয়েছি।

> একাধিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হচ্ছে।

> ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে রাজ্যে।

> রাষ্ট্রপুঞ্জের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিপার্টমেন্ট কলকাতায়।

> ব্যাঙ্কিং ইনভেস্টমেন্ট, ক্ষুদ্র শিল্পে আমরা এক নম্বর।

> ১৩২ টি ক্লাস্টার হয়েছে।

> ১ লক্ষ ১৫ হাজার পুকুর কেটেছি।

> ১০০দিনের কাজে আমরাই শীর্ষে।

> কন্যাশ্রী প্রকল্পে সুবিধা পেয়েছে ১৬ লক্ষ ছাত্রী।

> গোয়ালতোড়ে ১ হাজার একর জমি আছে।

> জোর করে কৃষকের জমি নেব না।

> ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরি করেছি। আমি জানি কোথায় জমি আছে। সেখান থেকে জমি দিচ্ছি।

> শিল্প পতিরা জমি কিনে নিতে পারেন।

> চাষিরা হলফনামা দেওয়ায় জমির উর্ধসীমা ছাড় দিচ্ছি।

> পানাগড়, দুর্গাপুর, বোলপুরে জমি আছে।

> এইমস কে কল্যানীতে ল্যান্ডব্যাঙ্ক থেকে ১০০ একর জমি দিয়েছি।

> ৩৪১ টি কিষাণ বাজার হয়েছে।

> আইটিআই কলেজ ৩৪১ টি ব্লকে

> আড়াই বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ চাকরি দেব।

> প্রতি মহাকুমায় পলিটেকনিক কলেজ হবে।

> শিল্পপতিরা কলেজের দায়িত্ব নিন। তাঁরা প্রশিক্ষিত ছাত্র-ছাত্রী পাবে। আমাদের চাপ কমবে।

> রেমন্ডস প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

> স্যামসংয়ের সঙ্গে মৌ সাক্ষরিত হয়েছে।

> বেসরকারি ক্ষেত্রকে ইনভলভ করব।

 

২৪ ঘণ্টা: কিন্তু আপনারাও তো প্রচুর ঋণ নিচ্ছেন

মুখ্যমন্ত্রী: বাজে কথা।

> আমরা এফআরবিএম করেছি।

> আমরা মাত্রা ছাড়া ঋণ নিতেই পারি না।

> অনুমোদিত মাত্রার থেকে বেশি ঋণ নিতে পারি না।

> বাংলার এত ঋব সত্ত্বেও GDP গ্রোথ জাতীয় স্তরের থেকে বেশি।

> কৃষিতে বৃদ্ধি জাতীয় হারের থেকে বেশি।

> শিল্পক্ষেত্রে বৃদ্ধি জাতীয় হারের থেকে বেশি।

২৪ ঘণ্টা: অগ্নিকন্যা থেকে প্রশাসক। কেমন এই জার্নি?

মুখ্যমন্ত্রী: > দুই ভূমিকাই এনজয় করি।

> আমি আজও সংগ্রামী। নিজের চরিত্র থেকে কখনই সরে যায়নি।

> এফডিআই-এর বিরোধীতা করে সরকারের থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছি।

> জনগণই আমার প্রায়োরিটি।

> মা, মাটি, মানুষের বিরোধিতা করে কেউ কিছু করতে পারবে না।

> ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছি। একটু জেদী বলতে পারেন।

> আমি একগুঁয়ে, অন্যায়ের সঙ্গে সমঝোতা করব না।

> সংগ্রামী মনোভাবই কাজে উৎসাহ যোগায়।

> এই চেয়ার জনগণের চেয়ার।

> সিঙ্গাপুর নিয়ে অনেকে মিথ্যা বলছেন।

> তাঁদেরতো গর্ব করা উচিত।

> পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলার নাম উঠেছে।

> প্রধানমন্ত্রীতো এত দেশ ঘুরছেন। লাভ কী হচ্ছে?

> রেলে ১০০% এফডিআই করে দিয়েছে।

 

FDI প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী

> অরুণ জেটলিকে কী করে বোঝাব কাজ করলে way out থাকা চাই।

> আমরা PPP করেছি।

> ওদের বিকল্প কোনও পরিকল্পনা নেই। আমাদের আছে।

> রেলে আমি ভাড়া বাড়াইনি, ব্যায়সঙ্কোচ করে ২ হাজার কোটি টাকা বাঁচিয়েছি। সেই টাকায় ভর্তুকি দিতাম।

> বাস ভাড়াতো মাত্র ১টাকা বাড়িয়েছি।

২৪ ঘণ্টা: আপ নার জনমোহিনী নীতিতে কী লোকসান হচ্ছে?

মুখ্যমন্ত্রী: আমার আমলে রেলের কোনও লোকসান হয়নি।

> লোকসান হচ্ছে বলে রেল বিক্রি করে দেব?

> প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে সব কিছু বিক্রি করে দিচ্ছে ওরা।

> ঘরোয়া শিল্পপতিরা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে চুক্তি করতেই পারেন। কিন্তু দেশীয় শিল্প কে তো বাঁচাতে হবে।

> আমি শপিং মলের বিরোধী নই। একটা দুটো মল বা বিগ বিজনেস হাউসে আপত্তি নেই।

> কিন্তু পাড়ার সব দোকানের সর্বনাশ করতে পারব না।

> ৫০ কোটি মানুষ ছোট ব্যবসায় জড়িত। কোথায় যাবেন তাঁরা?

 

সারদা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী:

>সিপিআইএম-এর কলঙ্কের সাজা ভোগ করছি।

> রাজনৈতিক কারণে সিবিআই-কে ব্যবহার করা হয়েছে।

> সিবিআই-এর সাফল্যের হার ২.৫%

> কুণালের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট প্রমাণ ছিল। ওকে গ্রেফতার করেছি।

> আসল অপরাধীকে আড়াল করা হচ্ছে।

> সিবিআই সবার টাকা ফেরত দিক।

> সিবিআইকে সাহায্য করব। কিন্তু মিথ্যা কুৎসা করলে কাউকে ছেড়ে দেব না।

> উপনির্বাচনের আগে অতিরিক্ত সক্রিয়তা দেখাচ্ছে সিবিআই।

 

বিহারে লালু-নীতিশ জোট সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী

> আরও আগে একাজ করা উচিত ছিল।

> লোকসভা ভোটে জোট হলে বিজেপি জেতে না।

> রাজনীতিতে কেউ অচ্ছুত নয়।

> আমরাও আগে সমঝোতা করেছি।

> মাওবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জঙ্গলমহলে অশান্তি ছড়াতে চাইছে বিজেপি। সুদিন আসেনি। এসেছে খারাপ দিন।

> বিজেপিকে রুখতে বামেদের জন্য দরজা খোলা রাখছে তৃণমূল। প্রস্তাব এলে সিপিআইএমের সঙ্গেও কথা হতে পারে।

> রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা কমেছে বারো শতাংশ। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধে উদ্যোগী সরকার। ইর্ষার বশে কুতসা ছড়াচ্ছে বিরোধীরা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

.