যোগীর রাজ্যে বিমানবন্দরেই 'বাধা' অখিলেশকে, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের অভিযোগে সরব মমতা
তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রয়াগরাজে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বিমানবন্দরেই আটকানো হল অখিলেশ যাদবকে। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিউনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে তাঁর অনুমতি না থাকায়, বিমানবন্দরেই রুখে দেওয়া হয় অখিলেশকে। আর এনিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, দেশে গণতন্ত্র কোথায়?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখেছেন, ইতিমধ্যেই অখিলেশ যাদবের সঙ্গে কথা বলেছি। বিজেপির এই ধরনের আচরণের বিরোধিতা করছি। জিগনেশ মেবানিকেও আটকানো হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র কোথায়? কিন্তু, ওরা সকলকে নীতিশিক্ষা দিচ্ছে?
I've already spoken to @yadavakhilesh. We all condemn the arrogant attitude of the so-called #BJP ‘leaders’ who didn't allow Akhilesh to address the students. Even @jigneshmevani80 was not allowed. Where is the democracy in our country? And they are giving lessons to everybody!
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) February 12, 2019
নবান্নে মমতা বলেন,''বিজেপি অগণতান্ত্রিক দল। মুখেই গণতন্ত্রের কথা বলে। বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে। ওদের রাজ্যে পুলিস খুন হচ্ছে''।
জিগনেশ মেবানি লিখেছেন, ''নরেন্দ্র মোদীর জমানায় অনেকেই মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়ছেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য লজ্জাজনক দিন। তীব্র নিন্দা করছি''।
Since @narendramodi became prime minister, many people have become spineless. Trustees of H.k. Arts college where I studied fall in that category, unfortunately. I salute toiling masses who always dare to take on mighty governments unlike many ppl with so called celebrated status
— Jignesh Mevani (@jigneshmevani80) February 11, 2019
লালুপুত্র তেজস্বী যাদবের কথায়,''দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবকে লিখিত নির্দেশিকারি ছাড়াই আটকানো হয়েছে। অজয় বিষ্টের উপরে তো ফৌজদারি মামলা রয়েছে, অখিলেশের বিরুদ্ধে তো তাও নেই''।
देश के सबसे बड़े सूबे के पूर्व मुख्यमंत्री को बिना लिखित आदेश रोकना लोकतंत्र की हत्या है।श्री अजय बिष्ट जी को पहले सोचना चाहिए कि उन पर अनेकों आपराधिक केस होने के बावजूद भी वो CM है फिर अखिलेश जी पर तो कोई आपराधिक केस भी नहीं है। अराजक लोग दूसरों के बारे में ख़ुद जैसा ही सोचते है https://t.co/2ys1v4i8ut
— Tejashwi Yadav (@yadavtejashwi) February 12, 2019
সমাজবাদী পার্টির ছাত্র সংগঠন শাখা ‘ছাত্র সভা’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনয়নের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। তারই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু অখিলেশের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, অনুষ্ঠানে রাজনীতিকদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। অখিলেশের অভিযোগ, ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তিনি দাবি করেন, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নিয়ে গত বছর ডিসেম্বরে জানানো হয়, তার পরও সরকার বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রেখেছে। এমনকি অখিলেশের বিস্ফোরক দাবি, তাঁর বাড়িতে নজরদারি বসানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন- রথযাত্রা রুখতে উপরতলার চাপে গোয়েন্দা রিপোর্ট, স্টিং হাতিয়ার বিজেপির