Mamata Banerjee: 'গান্ধীজিকে অসুর বানিয়ে দিলেন'? গেরুয়াশিবিরকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর
ইকো পার্কের পর এবার ভবানীপুরের উত্তীর্ণ স্টেডিয়ামে রাজ্য সরকারের বিজয়া সম্মিলনী। 'ধর্ম যার যার, উৎসব সবার', বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ডেস্ক: 'কিছু দল নাটকীয়ভাবে ভিডিয়ো তৈরি করছে। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নাম বলতেও ইচ্ছা করে না'। বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে বিজেপিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'গান্ধীজিকে অসুর বানিয়ে দিলেন? ৪টি ডান্ডা নিয়ে গেলেই কি ভাবেন তৃণমূল উঠে যাবে? অত সহজ নয়, তৃণমূল জোড়া ফুল, সবাই কুল কুল। মানুষ জবাব দেবে'।
ব্যবধান মাত্র একদিনের। ইকোপার্কের পর, এদিন রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হল ভবানীপুরের উত্তীর্ণ স্টেডিয়ামে। মু্খ্যমন্ত্রী বললেন, 'ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। দুর্গাপুজো খুব ভালোভাবে কাটিয়েছি। কালীপুজোও ভাল করে করতে হবে। কালীপুজোয় বাজি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'একটি পুজো ৫০ হাজার কোটি টাকার। পুজোয় সবচেয়ে বেশি লাভ হয় গরিব মানুষের'।
এদিকে খাস কলকাতায় আবার একটি পুজো মণ্ডপে অসুর বানানো হয়েছিল গান্ধীজিকে! তা বিতর্কও কম হয়নি। শেষপর্যন্ত বিদেশমন্ত্রকের নির্দেশে অসুরের মুখ আদল বদলে দেন পুজো উদ্যোক্তা। রুবি মোড়ের কাছে এই পুজোর আয়োজন করেছিল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। সংগঠনের শ্চিমবঙ্গ শাখার কার্যনিবাহী সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীর কথায়, 'আমরা গান্ধীকে সত্যিকারেই অসুর হিসেবে দেখি। তিনি সত্যিই অসুর। তাই আমরা তাঁর মতো দেখতেই অসুরের মূর্তি বানিয়েছিলাম'। এদিন উত্তীর্ণ স্টেডিয়ামে বিজয়া সম্মিলনীতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'গান্ধীজিকে অসুর বানিয়ে দিলেন? এই ঘটনা আমাকে আঘাত করেছে। মনীষীদের অসম্মান করেছে এই দল'।
এর আগে, বুধবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিজয় সম্মিলনীর আয়োজন করে নিউটাউনের ইকোপার্কে। সেই অনুষ্ঠানে আদানি গোষ্ঠীকে তাজপুরে বন্দর তৈরির অনুমতি দেয় রাজ্য সরকার। গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানির ছেলে কিরণের হাতে অনুমতিপত্র তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা ও বিশিষ্টজনেরা।
আরও পড়ুন: Madan Mitra, Sudip Banerjee: শিষ্টাচার বিরোধী মন্তব্য! সিনিয়র সুদীপকে 'বুড়ো খোকা' কটাক্ষ মদনের
পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে রাজ্যের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য় সরকার। ১৯ সেপ্টেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল বিধানসভায়। সেই বৈঠকেই তাজপুরে বন্দর তৈরির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। বস্তুত, পনেরো হাজার কোটি টাকা তাজপুরে প্রাথমিকভাবে পরিকাঠামোর তৈরির কাজ করবে রাজ্যই। কিন্তু সমুদ্র বন্দরের উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে প্রয়োজন আরও দশ হাজার কোটি টাকা। নবান্নের দাবি, তাজপুরে বন্দর তৈরি হবে প্রত্যক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে পঁচিশ হাজার মানুষের।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)