মদনের হৃদয়ে পৌছচ্ছে না পর্যাপ্ত অক্সিজেন

কলকাতা: পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের ইস্কিমিয়া রয়েছে। ফলে হৃদযন্ত্রে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌছচ্ছে না তাঁর। এছাড়াও রয়েছে স্লিপ অ্যাপনিয়া বা অনিদ্রার সমস্যাও। আজ একথা জানান SSKM এর অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র। কার্ডিওলজিস্ট শিবানন্দ দত্তের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন মদন মিত্র। গতকালের পর আজও ইকোকার্ডিওগ্রাম, ইসিজি হয়েছে তাঁর। সমস্ত পরীক্ষা নিরিক্ষার রিপোর্ট দেখে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সোমবার।

গতকাল ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মদন মিত্রের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। জামিনের আবে দন খারিজ করে তাঁকে পাঠানো হয়েছে আলিপুর জেলে।

শুক্রবারও পুষ্পবৃষ্টি, শঙ্খধ্বনি আর সমর্থকদের স্লোগান সঙ্গে নিয়ে আদালতে ঢোকেন পরিবহণ মন্ত্রী। ছিল কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা। আর এজলাসে চলেছে তীব্র সওয়াল জবাব। পরিবহণ মন্ত্রীকে হেফাজতে চায়নি CBI। তখন শারীরিক অসুস্থতার কারণে মন্ত্রীর জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী।

তিনি বলেন, মদন মিত্রের হাইপার টেনশন, ব্লাড সুগান, স্লিপ অ্যাপনিয়া রয়েছে। হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই জামিনের আবেদন জানানো হচ্ছে।   ইতিমধ্যে CBI-এর বিরুদ্ধে জোর করে ভয়েস রেকর্ড করার অভিযোগ তোলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ''একা একটা ঘরে ছিলাম। এক অফিসার মেশিন নিয়ে এলেন। বললেন এখুনি ভয়েস রেকর্ড দিতে হবে। আমি বললাম কোর্টের অর্ডার আছে। ওরা বলল, সুপ্রিম কোর্টের রুল আছে। আপনার কোর্ট জানে না।''

 জামিনের বিরোধিতায় CBI আইনজীবী বলেন,  মদন মিত্রের হাই পজিশন, প্রচুর ক্ষমতা। তাঁর দাবি ছিল ''...দুদিন হেফাজতে আমরা ওনার যা ক্ষমতা দেখলাম, উনি জামিন পেলে সাক্ষ্যপ্রমাণ বিকৃত হবে।''

সিবিআইয়ের দাবি মতোই মদন মিত্রের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তিনি প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা পাবেন কি না, তা জেল কর্তৃপক্ষের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন বিচারক।