ট্যাক্সি দৌরাত্ম্য রুখতে দাওয়াই পরিবহণমন্ত্রীর

অটোর পর এবার ট্যাক্সির দৌরাত্ম্য রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার ট্যাক্সিচালকদের হাতে অসুস্থ যুবক মার খাওয়ার পর বুধবার ট্যাক্সি ইউনিয়নগুলির সঙ্গে মহাকরণে বৈঠকে বসেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। বৈঠক শেষে মন্ত্রী জানান, যাত্রী প্রত্যাখান রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। অটোর মতো প্রত্যেক ট্যাক্সিতেও ১০৭৩ হেল্পলাইন চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

Updated By: Aug 22, 2012, 07:32 PM IST

অটোর পর এবার ট্যাক্সির দৌরাত্ম্য রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার ট্যাক্সিচালকদের হাতে অসুস্থ যুবক মার খাওয়ার পর বুধবার ট্যাক্সি ইউনিয়নগুলির সঙ্গে মহাকরণে বৈঠকে বসেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। বৈঠক শেষে মন্ত্রী জানান, যাত্রী প্রত্যাখান রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। অটোর মতো প্রত্যেক ট্যাক্সিতেও ১০৭৩ হেল্পলাইন চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্যাক্সিচালকদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলে লাইসেন্সও বাতিল হবে বলে জানান মন্ত্রী।
 
মঙ্গলবার ট্যাক্সিচালকদের দাদাগিরির শিকার হতে হয় মধ্য হাওড়ার যুবক পীতম চ্যাটার্জিকে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন পীতমবাবুর মা কৃষ্ণা চ্যাটার্জিও। এই কাণ্ডের পরই বুধবার ট্যাক্সি ইউনিয়নগুলির সঙ্গে মহাকরণে বৈঠকে বসেন পরিবহণমন্ত্রী। বৈঠক শেষে মন্ত্রী জানান, যাত্রী প্রত্যাখান রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। প্রয়োজনে চালকের লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে বলে জানান তিনি। বৈঠক শেষে মন্ত্রি বলেন, "ট্যাক্সি সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে স্ট্যান্ডে কী ঘটছে তার প্রতি নজর রাখতে হবে"। আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, সরকারি নিয়ম বহির্ভূত কিছু ঘটলে পুলিস ট্যাক্সির পারমিট বাতিল করতে পারে।
 
বুধবার মহাকরণে পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন পীতম চ্যাটার্জী। গোটা ঘটনাটি পরিবহণমন্ত্রীকে জানান তিনি।
 
অটোর সঙ্গে ট্যাক্সির দৌরাত্ম রুখতে কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার।
১) অটোর মতো প্রত্যেক ট্যাক্সিতেও থাকবে ১০৭৩ হেল্পলাইন নম্বর।
২) যাত্রী প্রত্যাখান রুখতে নেওয়া হচ্ছে কড়া ব্যবস্থা।
৩) যাত্রীদের প্রয়োজন মতো কোনও জায়গায় যেতে না চাইলে থাকছে জরিমানার ব্যবস্থা।
৪) প্রয়োজনে ট্যাক্সি চালকের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন পরিবহণমন্ত্রী।
সেইসঙ্গে মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, যদি কোনও ট্যাক্সি চালকের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয় সেক্ষেত্রে পরবর্তী ছ`মাস ওই চালক যাতে ট্যাক্সি চালাতে না পারেন, সে বিষয়টিও ইউনিয়নগুলিকে দেখতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কলকাতায় নতুন ৩০টি ট্যাক্সি স্ট্যান্ড তৈরি হবে।  তবে প্রয়োজনে চালকদের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
 

.