মদনের এসএসকেএম থেকে জেলযাত্রা
শনিবার দুপুরেই হাসপাতাল জানিয়ে দিয়েছিল সুস্থ রয়েছেন মন্ত্রী। তবে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড ছেড়ে জেলে যেতে এক্কেবারে রাজি ছিলেন না মদন মিত্র। দিনভর চলে নাটক। শেষ পর্যন্ত জ্যোতিষির পরামর্শ নিয়ে জেলে যেতে রাজি হন মন্ত্রী। সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় তাঁকে। তবে জেলে নয়, মন্ত্রীকে রাখা হবে জেল হাসপাতালে।
কলকাতা: শনিবার দুপুরেই হাসপাতাল জানিয়ে দিয়েছিল সুস্থ রয়েছেন মন্ত্রী। তবে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড ছেড়ে জেলে যেতে এক্কেবারে রাজি ছিলেন না মদন মিত্র। দিনভর চলে নাটক। শেষ পর্যন্ত জ্যোতিষির পরামর্শ নিয়ে জেলে যেতে রাজি হন মন্ত্রী। সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় তাঁকে। তবে জেলে নয়, মন্ত্রীকে রাখা হবে জেল হাসপাতালে।
উনিশ তারিখ জেল হেফাজত হয়েছিল পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রের। সে যাত্রায় জেলের অফিস ঘরের চৌকাঠও পার হননি মন্ত্রী। জেলে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে যান এসএসকেএম হাসপাতালে। তার পর থেকে হাসপাতালে ভিভিআইপিদের জন্য নির্দিষ্ট উডবার্ন ওয়ার্ডেই ছিলেন মন্ত্রী।
সাতাশে ডিসেম্বর
দুপুর দুটো
শেষ পর্যন্ত মদন মিত্রকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল মেডিক্যাল বোর্ড
বিকেল তিনটে
তৈরি হল ডিসচার্জ সামারি
বিকেল সাড়ে তিনটে
ডিসচার্জ সামারি পাঠানো হল জেলে
বিকেল চারটে
হাসপাতালে এল প্রিজন ভ্যান
বিকেল সাড়ে পাঁচটা
জেল থেকে কাগজপত্র এল হাসপাতালে
সন্ধে ছটা
মদনকে ছাড়া নিয়ে নাটক শুরু
বুকে ব্যথার কথা বলে জেলে যেতে নারাজ মন্ত্রী
সন্ধে সাড়ে ছটা
নবান্নের সঙ্গে যোগাযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের
সন্ধে সাতটা
মদন মিত্রকে বোঝানোর চেষ্টা শুরু করে পুলিস। হাসপাতালে ভিড় বাড়তে থাকে মন্ত্রীর অনুগামীদের
সন্ধে সাড়ে সাতটা
শেষ পর্যন্ত মদন মিত্রকে বোঝাতে সক্ষম হল পুলিস
সন্ধে সাতটা চল্লিশ
জেলে যাওয়ার আগে রাতের খাবার খেয়ে যেতে চাইলেন মদন মিত্র
সন্ধে সাতটা পঞ্চাশ
ফের নাটকীয় মোড় নিল গোটা ঘটনা। পুলিস কর্তারা জানালেন , হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফের একবার পরীক্ষা করা হবে মদন মিত্রকে। রাতে মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান পরীক্ষা করতে যান পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রকে। যদিও এই পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। মেডিক্যাল বোর্ডের অন্য সদস্যদের দাবি, যদি কেউ পরীক্ষা করতে গিয়ে থাকে, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। মেডিক্যাল বোর্ডের নয়। ফলে স্পষ্টতই মদন মিত্র ইস্যুতে মেডিক্যাল বোর্ডের মধ্যে ভাঙন দৃশ্যতই চোখে পড়ছে।
রাত আটটা
পুলিস জানালো, মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান শিবানন্দ দত্ত মদন মিত্রকে পরীক্ষা করবেন, হাসপাতালের তরফে একথা জানানো হয় পুলিসকে।
প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, একবার রিলিজ অর্ডার দেওয়ার পরও ফের কেন শারীরিক পরীক্ষা হল মন্ত্রীর?রাজনৈতিক চাপেই কি সিদ্ধান্ত বদল করল হাসপাতাল?
রাত সাড়ে আটটা
ওয়ার্ড থেকে বেড়িয়ে এলেন মন্ত্রীর ছেলে । তবে মুখ খুললেন না ক্যামেরার সামনে।
রাত পৌনে নটা
ফের মন্ত্রীর কেবিনে গেলেন পুলিস কর্তারা।
রাত সাড়ে নটা
পুলিস কর্তারা জানালেন এখনই জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না মন্ত্রীকে। এত রাতে জেলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
রাত পৌনে দশটা
জানা গেল জ্যোতিষির পরামর্শ অনুযায়ী রাত তিনটের পর হাসপাতাল ছাড়বেন মদন মিত্র।