সবই হল, শুধু ওরা নেই- মদন, মুকুলহীন মমতার শহীদ দিবস
সবই হল, শুধু ওরা নেই- মদন, মুকুলহীন মমতার শহীদ দিবস
ওয়েব ডেস্ক: নেই দুজনেই। একজন দলের থেকে অনেক দূরে। অন্য জন মন্ত্রী থেকেও জেলে বন্দি। বহু বছর বাদে একুশে জুলাইয়ে নেই মুকুল-মদন। একজন দিল্লিতে একা। অন্য জন পিজি হাসপাতালে ঘরবন্দি। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে একবারও শোনা গেল না দুজনের এক জনেরও নাম।
অনেক নাম। কেউ নেতা, কেউ অভিনেতা।
শুধুমাত্র দুটি নাম বাদ।
মুকুল আর মদন।
একুশে জুলাইয়ের জমায়েত সামলাতেন মুকুল রায়। আর মঞ্চ থেকে গাড়ি, সামলাতেন মদন মিত্র। কতবার যে তাঁদের ডাকাডাকি করতেন নেত্রী....
মুকুল এখন দিল্লিতে। একাই শহিদ বেদীতে মালা দিয়েছেন। একেবারে একা।
আর মদন ?
১৯৯৩। সে দিনের মহাকরণ অভিযানে মমতার পাশে একমাত্র মদন মিত্রই।
এখন মদন জেলে। সকাল থেকে বারবার বেজে উঠেছে ফোন। হাসপাতালে বসেই খবর পেয়েছেন তার ছবি নিয়ে সভায় এসেছেন কর্মীরা। মমতার ভাষণ শুরু হতেই কান খাড়া। নেত্রী কখন তাঁর কথা বলেন। দেড় ঘণ্টার ভাষণে একবারও নেই মদন। দল কি তাঁকে ভুলে গেল? অভিমান আর চেপে রাখতে পারেননি। বন্দি থাকায় নেত্রীর তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে। মঞ্চে থাকলে নিশ্চয়ই এমনটা হত না।
আরও একজন জেলে বসে কান খাড়া করে ছিলেন। জানতেন নাম মুখে আনবেন না। কিন্তু সারদা নিয়ে কিছু কী বলবেন। হতাশ কুণাল ঘোষও।