দালালচক্রে ইন্ধন দিয়ে বিতর্কে মদন মিত্র
হকারদের সঙ্গে তুলনা পরিবহণ দফতরের দালালদের। আর এই তুলনা টেনে এনে দালালচক্রের রোজগারের পক্ষে আজ যুক্তি সাজালেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। পরিবহণে দালালরাজের দাপটে যখন অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ, তখন খোদ মন্ত্রীর মুখে এ ধরনের মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। শুক্রবার বেলতলা মোটর ভেহিকলসে নতুন বাস-মিনিবাসের পারমিট প্রদান অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে হাজির মন্ত্রীদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেরই গলায় শোনা গিয়েছে কাজকর্মে স্বচ্ছতার কথা।
হকারদের সঙ্গে তুলনা পরিবহণ দফতরের দালালদের। আর এই তুলনা টেনে এনে দালালচক্রের রোজগারের পক্ষে আজ যুক্তি সাজালেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। পরিবহণে দালালরাজের দাপটে যখন অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ, তখন খোদ মন্ত্রীর মুখে এ ধরনের মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। শুক্রবার বেলতলা মোটর ভেহিকলসে নতুন বাস-মিনিবাসের পারমিট প্রদান অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে হাজির মন্ত্রীদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেরই গলায় শোনা গিয়েছে কাজকর্মে স্বচ্ছতার কথা।
একদিকে স্বচ্ছতার দাবি, আরেকদিকে আবার নিজের দফতরেই কার্যত দালালরাজের পক্ষে সওয়াল পরিবহণমন্ত্রীর। মোটর ভেহিক্যালসে দালালদের দাপট নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। খোদ পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের মুখে বহুবার তাঁদের বিরদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা গিয়েছে। কিন্তু শুক্রবার এ নিয়ে মন্ত্রীর মনোভাব বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শাস্তি দূরে থাক। বরং দালালদের কাজের বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখার পক্ষপাতী মন্ত্রী।
পরিবহণমন্ত্রীর বক্তব্য, কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবহণ বিভাগ থেকে লাইসেন্স পেয়ে যাবেন আবেদনকারীরা। অথচ বাস্তব অভিজ্ঞতায় বহু টাকা গুণাগার দিয়েও দালালরাজের দাপটে নির্দিষ্ট সময়ে লাইসেন্স পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। অভিযোগ উঠছে চূড়ান্ত হয়রানির। কিন্তু মন্ত্রী নিজেই যেখানে সরকারি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে দালালরাজকে প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় দিচ্ছেন, সেখানে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমার আশা কতটা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।