জেলে যেমন কাটাচ্ছেন মদন মিত্র
ওয়েব ডেস্ক: প্রথম শ্রেণির বন্দি বলে কথা! জেলের সেলেই তাই রীতিমতো বাড়ির আমেজ। বাড়ির খাবারেই আজ লাঞ্চ সারেন মদন মিত্র।ছেলে, বউমা, নাতির সঙ্গে একান্তে কাটান কিছুক্ষণ। আলিপুর জেলে সেকেণ্ড ইনিংসের প্রথম দিন শুয়ে-বসেই কাটল সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রীর।
গদি মোড়া খাটে কম্বল -বালিশের আমেজেই শুক্রবার ঘুম ভাঙে সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রীর। একই ঘরে তাঁর সঙ্গী আরও চারজন।
শুধু ভিআইপি বন্দির জন্যই ঘর লাগোয়া ঝাঁ চকচকে বাথরুম।
সকাল ৭.১০, ভিআইপি বন্দির সঙ্গে দেখা করতে আসেন জেলসুপার অরিন্দম সরকার ।তাঁকে মদনের আর্জি, দেখবেন,কেউ যেন বিরক্ত না করে।
সকাল ৭.৩০, ততক্ষণে ব্রেকফাস্ট হাজির। কিন্তু খাবারে তাঁর রুচি নেই। প্রথম শ্রেণির বন্দি খবরের কাগজ উল্টেই কাটালেন কিছুক্ষণ।
আগের বার মদন মিত্রের আবদারেই জেলের ওয়ার্ডে লাগানো হয় মিউজিক সিস্টেম। এবারও সচল থাকছে সেই সিস্টেম
বাড়ি থেকে আনা খাবারই খাবেন মদন মিত্র।
দুপুরের খাবার নিয়ে আলিপুর জেলে হাজির মদন মিত্রের তিন অনুগামী। বাড়ির খাবারেই লাঞ্চ সারেন তিনি।
মদন মিত্রের জন্য জামাকাপড়, শীতের পোশাক ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রও দিয়ে যান তাঁরা
বেলা ১.৪৫, এবার জেলে হাজির মদন মিত্রের পরিবার। স্ত্রী, ছেলে-বউমা ছাড়া একরত্তি নাতিও দাদাকে দেখতে হাজির। আধঘণ্টা জেলে কাটিয়ে ফিরে যান তাঁরা।
আলিপুর জেলে প্রথম শ্রেণির বন্দি এই মুহুর্তে মদন মিত্র ছাড়াও রয়েছেন ৪ জন।
কলকাতায় মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে হামলার মূল অভিযুক্ত আফতাব আনসারি।মাওবাদী হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত তেলেগু দীপক ও ছত্রধর মাহাত এবং সারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত মাতঙ্গ সিং
বৃহস্পতিবারই আদালতে বুকের বা দিকে ব্যথার কথা বলেছিলেন। মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্সের আবেদনও জানান তাঁর আইনজীবীরা। সেই আবেদন মঞ্জুরও করে আদালত। কাজেই প্রশ্ন উঠছে, বাড়ির আয়েসে কি জেলেই থাকবেন মদন মিত্র? নাকি আবার সেই এসএসকেএমই হবে তাঁর ঠিকানা?