প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসার ধাক্কা, মুখ্যমন্ত্রী স্বর্ণশিল্পে ছাড় দিলেও বউবাজারে বেকার ২০ হাজার
গড়ে পশ্চিমবঙ্গের স্বর্ণ শিল্পকে বিয়ের মরশুম সাড়ে চারশো থেকে পাঁচশো কোটি টাকার ব্যাবসা দেয়। এবার এই অঙ্কটা নিটোল শূন্য। ২০ হাজার স্বর্ণকার বেকার। শুধু বৌবাজারেই বন্ধ ৪৭৬ টি গয়নার শো রুম ।
অয়ন ঘোষাল: স্বর্ণ এবং অলঙ্কার শিল্পে ছাড় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতে খুব একটা আশার আলো দেখছে না রাজ্যের বৃহত্তম অলঙ্কার হাব বউবাজার। কারন বৌবাজার রেড জোন। মানুষের যাতায়াত যেখানে বন্ধ, প্রতিটি গলি যেখানে সিল, সেখানে দোকান খুলবে কে? বিক্রিবাটা করবেন কারা? কিনতেই বা আসবেন কে? আর সব থেকে বড় কথা, গয়না বানাবেন কে?
যাঁরা মনিকার বা স্বর্ণকার, তাঁরা তো বেশিরভাগই ভিন রাজ্যের বা ভিন জেলার। তাঁদের বেশিরভাগই এখন এখানে নেই। যাঁরা আছেন, তাঁদের ঘর থেকে বেরোলেই পুলিস ধরছে।
হুগলির ১১টি থানায় নেট ও কেবিল পরিষেবা বন্ধ, নির্দেশ কার্যকর ১৭ তারিখ পর্যন্ত
বৃহস্পতিবার বৈশাখ মাসের শেষ দিন। এটি ছিল বিয়ের মাস। গড়ে পশ্চিমবঙ্গের স্বর্ণ শিল্পকে বিয়ের মরশুম সাড়ে চারশো থেকে পাঁচশো কোটি টাকার ব্যাবসা দেয়। এবার এই অঙ্কটা নিটোল শূন্য। ২০ হাজার স্বর্ণকার বেকার। শুধু বৌবাজারেই বন্ধ ৪৭৬ টি গয়নার শো রুম ।
পাইকার, যাঁরা দোকান খুলে ব্যাবসা করেন না, সরাসরি ক্রেতার থেকে অর্ডার নিয়ে, স্বর্ণকারকে দিয়ে গয়না গড়িয়ে আবার ক্রেতার কাছেই পৌছে দেন, তাঁদের সংখ্যা আড়াই হাজার। পশ্চিমবঙ্গে গড়ে প্রতিদিন দুশো কিলো সোনার গহনা কেনাবেচা হয়। বুধবার বাজারে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৫ হাজার টাকা। তার মানে ১ কিলো সোনার দাম ৪৫ লক্ষ টাকা। এটাকে ২০০ দিয়ে গুন করলে যা হয়, সেই টার্নওভার বন্ধ রয়েছে টানা ৪৯ দিন। এবার সংখ্যাটা ভেবে দেখুন!