সরকারি প্রকল্প চালু রাখতে নির্বাচন কমিশনকে 'অনুরোধ' মুখ্যমন্ত্রী মমতার
নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। ফলে কোনও নতুন প্রকল্পের প্রচার বা সূচনা এখন বিধির আওতায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : "ইলেকশনের নামে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা বা পরিষেবা দেওয়া বন্ধ হয়ে গেলে গরিব মানুষের ক্ষতি হবে। আমরা চাই মানুষ যেন বঞ্চিত যেন না হয়। যেসব প্রকল্প নির্বাচনের আগে শুরু হয়েছে, সেগুলো যেন বন্ধ না হয়। নির্বাচন কমিশনের কাছে তাই অনুরোধ করেছি। কৃষক বন্ধু, রূপশ্রী, সমব্যথী, স্বাস্থ্য সাথী সহ অনেক প্রকল্প চালু থাকুক, এটাই চাই।" সোমবার সন্ধ্যায় নবান্নে দাঁড়িয়ে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
আরও পড়ুন, বিপাকে 'কেষ্টদা'! অনুব্রতর বিরুদ্ধে তদন্তে কমিশন
কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে 'কৃষক বন্ধু' প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 'কৃষক বন্ধু' প্রকল্পে ৬০০০ টাকা করে কৃষকদের দেওয়ার কথা। এখন নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। ফলে কোনও নতুন প্রকল্পের প্রচার বা সূচনা এখন বিধির আওতায়। কিন্তু, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার বেশ কিছুটা আগেই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এক্ষেত্রে কী হবে? সেখানেই দেখা দিয়েছে জটিলতা।
আরও পড়ুন, 'দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে লেনদেন! ৩০০ কোটির দুর্নীতি অর্জুনের'
পাশাপাশি, এবার আলুর উত্পাদন অধিক হওয়ায় সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে আলু কেনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও কোনও জায়গায় সেই আলু কেনা শুরু হলেও, নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষকদের কাছ থেকে সেই আলু কেনাও স্থগিত হয়ে গিয়েছে। সেই জন্যেও কমিশন এর অনুমতি চেয়েছে রাজ্য। পাশাপাশি কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের ব্যাপারে অনুমতি চেয়েও কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য।
আগামী বৃহস্পতিবার রঙের উতসব দোল, তার পরদিন শুক্রবার হোলি। সেই উপলক্ষে এদিন সাধারণ মানুষকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।