Lok Sabha Election 2024 | Central Force Route March: রুট মার্চের নামে বাড়াবাড়ি, নাগরিক 'ক্ষোভ' সামলাতে তৎপর কমিশন
লোকসভা ভোট ঘোষণা হতেই এবার আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে কড়া অবস্থান নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে কমিশন যে খুবই চিন্তিত, তা প্রথমেই স্পষ্ট হয়ে যায়। সারা দেশে একমাত্র রাজ্য যেখানে ভোট করাতে কমিশন ৯২০ কোম্পানি বাহিনী চায়।
সুতপা সেন: রুটমার্চ নিয়ে অভিযোগ আসছে কমিশনের কাছে। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চে স্বচ্ছতা আনতে সমস্ত তথ্য কমিশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তুলে ধরতে শুরু করল।
এই প্রথমবারের জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করল কমিশন। ceowestbengal.nic.in-এই ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর রুটমার্চ নামে একটি অংশে ক্লিক করলেই সবাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হবেন।
বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ সঠিক পদ্ধতিতে হচ্ছে কি না, সেই সংক্রান্ত তথ্য আগামী ২৯ মার্চ ২০২৪ থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টার মধ্যে হার্ড কপি এবং ই-মেলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠানোর নির্দেশ দিল কমিশন।
আরও পড়ুন: Rudranil Ghosh: প্রার্থীপদ না পেয়ে ক্ষোভ! বিজেপির একাধিক গ্রুপ ছাড়লেন বেসুরো রুদ্রনীল
একই সঙ্গে সেই তথ্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছেও পৌঁছে দিতে হবে CRPF-কে। আসলে, CRPF এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কো-অর্ডিনেট হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ, SITREP রিপোর্ট (সিচুয়েশন রিপোর্ট) বা গতিবিধি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ‘sic-gdesk@mha.gov.in’-এ মেল করতে হবে।
লোকসভা ভোট ঘোষণা হতেই এবার আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে কড়া অবস্থান নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে কমিশন যে খুবই চিন্তিত, তা প্রথমেই স্পষ্ট হয়ে যায়। সারা দেশে একমাত্র রাজ্য যেখানে ভোট করাতে কমিশন ৯২০ কোম্পানি বাহিনী চায়।
ভোট ঘোষণার পরেই আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কয়েক দফা নির্দেশ ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের পাঠিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।
আরও পড়ুন: Loksabha Election 2024: উত্তর কলকাতায় এবার সুদীপ বনাম তাপস! 'আমরা করণ-অর্জুন হয়ে জেতাব', বললেন সজল..
বাংলার বিভিন্ন নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। ১৬ মার্চ ভোট ঘোষণার দিনই এই বিষয়ে বার্তা দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, ‘যে পরিমাণ ফোর্স রাজ্যগুলিতে যাচ্ছে তার মোতায়েন যেন ঠিকমতো হয়। কোথাও ফোর্সকে বসিয়ে রাখা, কাজ না করানোর ঘটনা যেন না ঘটে। আবার কোথাও যেন ফোর্সকে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ না আসে’।
ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। ভোটের দিন ঘোষণার আগেই রাজ্যে এসে যায় বাহিনী। দিন ঘোষণার আগে থেকেই বিভিন্ন জেলায় টহল শুরু হয় তাঁদের।
এপ্রিলের শুরুতে রাজ্যে আরও ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা রয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)