প্রদীপ জ্বালিয়ে সৌভাগ্য আনুন জীবনে, মেটান আর্থিক সঙ্কট
এই আলোর উৎসবে ওয়াশরুমকেও অবহেলা করবেন না। পারলে সেখানেও আলো দিন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ 'ইভ অফ দ্য দীপাবলি'। কালীপুজোর আগের দিন। দিনটি ভূত চতুর্দশী। এ দিন শুভ সংস্কারবশত সন্ধেয় বাড়িতে প্রদীপ জ্বালান ভারতীয় নারী।
মনে করা হয়, অন্ধকারে অশুভ আত্মা ও অশুভ শক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বাস, এই অশুভ শক্তিকে সরিয়ে দিতে বাড়ির কোনায় কোনায় প্রদীপ জ্বালাতে হয়।
সাধারণত সদর দরজায়, বাড়ির ঠাকুরের সামনে, বারান্দায় প্রদীপ জ্বালানোর রীতি। তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞেরা কতগুলি পরামর্শ দিচ্ছেন। এলোমেলো ভাবে না জ্বেলে কী ভাবে প্রদীপ জ্বাললে সৌভাগ্য এসে নিশ্চিত ধরা দেবে আপনার জীবনে সেটাই বলছেন তাঁরা।
তাঁরা জানাচ্ছেন, সব চেয়ে বড় কথা এ দিন সন্ধেয় প্রদীপ জ্বাললে নাকি ঋণমুক্তি ঘটে! এ ক্ষেত্রে কিছু বাস্তু-নিয়মরীতিও আছে। সেই অনুসারে জেনে নেওয়া যাক বাড়ির কোন জায়গায় কী ভাবে প্রদীপ জ্বালানো উচিত।
ঋণ থেকে মুক্তি পেতে এবং আর্থিক সমস্যার সমাধানকল্পে অবশ্যই জ্বালান ঘিয়ের প্রদীপ।
বাড়িতে তুলসী গাছ থাকলে তার নীচে একটি প্রদীপ মাস্ট। তুলসী গাছ না থাকলে বাড়ির যে কোনও গাছের কাছেই রাখতে পারেন প্রদীপ। সদর দরজার বাইরে প্রদীপ দিতেই হবে। বাড়ির ঠাকুরের সিংহাসনের সামনেও অবশ্যই প্রদীপ জ্বালুন। এই আলোর উৎসবে ওয়াশরুমকেও অবহেলা করবেন না। পারলে সেখানেও আলো দিন।
বাড়ির যে কোনও একলা দেয়ালের পাশে, উঠোনের চৌবাচ্চার ধারে, জানালার গোবরাটে, ছাদে-দালানে-বারান্দায় এবং বাড়ির যে কোনও নিভৃত আঁধার কোণে প্রদীপ জ্বালানো উচিত।
এ ছাড়াও একটি পঞ্চপ্রদীপ পাড়ার কোনও মন্দিরে জ্বেলে দিয়ে আসুন। আর যদি এলাকায় হাতের কাছেই থাকে কোনও বটগাছ, তবে তার নীচেও রেখে আসুন সাতটি প্রজ্বলিত দীপ।
ব্যস! তারপর আপনার কাজ শেষ। কর্মেই আপনার অধিকার, ফলে তো নয়। তবে, অপেক্ষা করে দেখুনই না ফল আসে কিনা! অন্ধকার চিরে আলো ঠিকরে পড়ে কিনা আপনার ভাগ্যে।
আরও পড়ুন: ভূতের আমি, ভূতের তুমি, ভূত দিয়ে যায় চেনা!