পুলিসের আপত্তি সত্ত্বেও সিপিআইএমের সভা শ্যামবাজারেই
পুলিসের অনুমতি না মিললেও আগামিকাল শ্যামবাজারে সভা করবে সিপিআইএম। সভার জন্য গত তিন তারিখ আবেদন জানায় সিপিআইএম নেতৃত্ব। সভা নিয়ে আপত্তিও জানায়নি পুলিস। কিন্তু আচমকাই বিরোধী দলকে সভার অনুমতি না দেওয়ায় হতবাক রাজনৈতিক মহল।
পুলিসের অনুমতি না মিললেও আগামিকাল শ্যামবাজারে সভা করবে সিপিআইএম। সভার জন্য গত তিন তারিখ আবেদন জানায় সিপিআইএম নেতৃত্ব। সভা নিয়ে আপত্তিও জানায়নি পুলিস। কিন্তু আচমকাই বিরোধী দলকে সভার অনুমতি না দেওয়ায় হতবাক রাজনৈতিক মহল।
শ্যামবাজারে গত ২ মে সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধান বক্তা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর কংগ্রেস এবং পিডিসিআই। কিন্তু সভা করার অনুমতি দেওয়া হল না সিপিআইএমকে।
বুধবার শ্যামবাজারে সভা করার অনুমতি চেয়ে গত তিন তারিখ শ্যামপুকুর থানায় আবেদন জানায় সিপিআইএম। পুলিসের সঙ্গে আলোচনার পর ঠিক হয়, বুধবার অর্থাত্ আট মের পরিবর্তে সাত মে সভা হবে। সিপিআইএমের দাবি, প্রথমে পুলিসের আশ্বাস মেলে। সেই মতো সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল গৌতম দেব, মহম্মদ সেলিম, রবীন দেবদের। পরে অবশ্য পুলিস জানিয়ে দেয়, শ্যামবাজারে সভা করতে পারবে না সিপিআইএম।
মুখ্যমন্ত্রী এবং শাসক দলকে সভা করার অনুমতি দেওয়া হলেও কী কারণে অনুমতি পেল না সিপিআইএম? পুলিস জানিয়েছে, ওই নির্দিষ্ট জায়গায় পাঁচ থেকে কুড়ি তারিখ পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির চলবে। সেজন্যই সভার অনুমতি দেওয়া যাবে না সিপিআইএমকে। সিপিআইএমের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই সভার অনুমতি মেলেনি। প্রশ্ন উঠেছে, পুরসভার এই অনুষ্ঠানের কথা কী আগে জানত না পুলিস? তাহলে কেন আগে বিরোধী নেতাদের সভায় আপত্তি জানানো হয়নি ?
রবিবার প্রায় একই ঘটনা ঘটে উত্তর চব্বিশ পরগনার মধ্যমগ্রামে। স্থানীয় চৌমাথায় দলীয় কর্মী পরিমল সরকার স্মরণসভার আয়োজন করে সিপিআইএম। বক্তব্য রাখার কথা ছিল বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র সহ একাধিক বাম নেতার। প্রথমে এই সভার জন্য মাইক বাজানোর অনুমতি দেওয়া হলেও, রবিবার সকালে আচমকাই সেই অনুমতি বাতিল করে পুলিস। শেষপর্যন্ত অবশ্য মধ্যমগ্রামে মাইক বাজিয়েই সভা করে সিপিআইএম। বারবার সিপিআইএমের সভায় অনুমতি দিয়েও পরে তা খারিজ করে দেওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়ছে পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা।