রাজ্যের ইতিহাসে প্রথমবার, বিরোধীদের আন্দোলনে পিছিয়ে গেল ভোট গণনা, প্রতিবাদে পথে নামবে তৃণমূল
বিরোধীদের প্রবল চাপে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পিছিয়ে গেল পুরভোটের গণনা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জানি দিলেন, বিধাননগর, আসানসোল ও বালির পুরভোটের গণনা আগামী ৭ অক্টোবর হচ্ছে না। কমিশনের এই ঘোষণার পরই সোমবার সল্টলেক-বিধাননগর-রাজারহাটে ১২ ঘণ্টার বনধ্ না করার কথা জানায় সিপিআইএম। কমিশনের সিদ্ধান্তে পাল্টা মিছিল, ধর্না, অবস্থান কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত তৃণমূলের।
ব্যুরো: বিরোধীদের প্রবল চাপে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পিছিয়ে গেল পুরভোটের গণনা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জানি দিলেন, বিধাননগর, আসানসোল ও বালির পুরভোটের গণনা আগামী ৭ অক্টোবর হচ্ছে না। কমিশনের এই ঘোষণার পরই সোমবার সল্টলেক-বিধাননগর-রাজারহাটে ১২ ঘণ্টার বনধ্ না করার কথা জানায় সিপিআইএম। কমিশনের সিদ্ধান্তে পাল্টা মিছিল, ধর্না, অবস্থান কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত তৃণমূলের।
রাজ্যের ইতিহাসে প্রথমবার। সন্ত্রাস, রিগিং, ছাপ্পার অভিযোগে পিছিয়ে গেল পুরভোটের গণনা।
শনিবার ভোট মিটতেই নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিক্ষোভে সামিল হয় বিরোধীরা। বামেদের অবস্থানের পাশাপাশি, ধর্নায় বসে বিজেপি ও কংগ্রেসও। শনিবার অনেক রাত পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। রবিবার ফের শুরু হয় ধর্না। কমিশন সূত্রে খবর, ভোটের দিন বিধাননগরের বিভিন্ন বুথে বেনিয়মের প্রমাণ এসেছে তাদের হাতেও।
বিধাননগরের বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সিসিটিভির ব্যবস্থা করেছিল কমিশন। ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে কমিশন দেখে একাধিক ক্ষেত্রেই ক্যামেরার মুখ ঘোরানো ছিল।
বিরোধীদের দাবি ছিল নিজস্ব সূত্র শুধু নয়, সংবাদমাধ্যমের ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি, ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক থেকে প্রত্যক্ষদর্শী ভোটার সকলের সঙ্গে কথা বলুক কমিশন। সেই দাবি মেনে নিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এই কাজে কিছুটা সময় লাগবে। সেকারণেই গণনা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন।