মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম পোস্ট, 'ইঙ্গিতপূর্ণ' বার্তা Laxmi-র
মঙ্গলবারই একযোগে মন্ত্রিত্ব ও জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmi Ratan Shukla)। ছবির ক্যাপশনের মধ্যেই অন্য 'ইঙ্গিত', অন্য 'বার্তা' লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ইস্তফার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আজই প্রথম পোস্ট। আর তাতেই উস্কে দিলেন ইঙ্গিত! উগরে দিলেন ক্ষোভ! লক্ষ্মীরতন শুক্লার (Laxmi Ratan Shukla) ফেসবুক পোস্ট নিয়ে এমনই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় জনৈক ভক্তের আঁকা একটি ছবি শেয়ার করেছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmi Ratan Shukla)। ছবিতে লক্ষ্মীর কাঁধে হাত দিয়ে রয়েছেন 'দাদা' সৌরভ গাঙ্গুলি। সেই ছবির ক্যাপশনেই লক্ষ্মী লিখেছেন, "একজন সত্যিকারের নেতা বা অধিনায়ক শুধু নিজে খেলেন না, তাঁর টিমের সতীর্থদেরও খেলার সুযোগ করে দেন, খেলতে এগিয়ে দেন।" এই ক্যাপশনের মধ্যেই অন্য 'ইঙ্গিত', অন্য 'বার্তা' লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। নিছকই অরাজনৈতিক পোস্ট নাকি দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা? উঠছে সেই প্রশ্ন।
A true leader/captain not only plays, but also makes his team playThank you for this lovely painting my friend
Posted by Laxmi Ratan Shukla on Wednesday, January 6, 2021
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই একযোগে মন্ত্রিত্ব ও জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmi Ratan Shukla)। ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, যেমনভাবে চেয়েছিলেন তেমনভাবে কাজ করার সুযোগ তিনি পাচ্ছিলেন না, তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছিল না, ইস্তফার পর এমনই ক্ষোভ উগরে দেন লক্ষ্মী। এমনকি লক্ষ্মীরতন শুক্লার ইস্তফার পর দলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে রাখঢাক করেননি বৈশালি ডালমিয়াও (Baishali Dalmiya)।
আরও পড়ুন, Laxmi-র ইস্তফা গ্রহণ করলেন রাজ্যপাল, Arup Biswas পেলেন দফতরের দায়িত্ব
Zee ২৪ ঘণ্টাকে বালির তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmi Ratan Shukla) মিটিং-মিছিল ডাকলে দলের একাংশ সাড়া দিত না। তারা আলাদা মিটিং করত।" তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, "তৃণমূলস্তরের একাংশ দলটাকে উইপোকার মতো কুরে কুরে খাচ্ছে। পুরনো কর্মীদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। নতুন কর্মীদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে না।"
আরও পড়ুন, ক্যাবিনেট বৈঠকে আজ ফের অনুপস্থিত Rajib, এলেন না আরও ৪ মন্ত্রী
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীরতন শুক্লার (Laxmi Ratan Shukla) ইস্তফার পরই তোপ দাগেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় (Arup Roy)। বলেন, "ভোটের আগে দলের সেনাপতির দায়িত্বে থাকা কেউ যদি চলে যায়, তাহলে সেটা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরে যাওয়ার মতই ঘটনা।" যদিও, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, "লক্ষ্মী ভালো ছেলে। কেউ পদত্যাগ করতেই পারে, কী যায় আসে। লক্ষ্মী যে চিঠি লিখেছে, তাতে লেখেনি যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করছে। লিখেছে যে রাজনীতি থেকে সরে যেতে চায়। ও খেলায় আরও সময় দিতে চায়। ঠিক আছে।"