Partha Chatterjee: এবার বিধায়ক পদ থেকে অব্যাহতি? জল্পনায় ইতি টানলেন পার্থের আইনজীবী
প্রাক্তন মন্ত্রীর ঠিকানা এখন প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগার। সংশোধনাগারে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন আইনজীবী।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: দলনেত্রীর উপর আস্থা অটুট এখনও। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধায়ক পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার সম্ভাবনা খারিজ করে দিলেন তাঁর আইনজীবী সুকন্যা ভট্টাচার্য। জানালেন, 'বিধায়ক হিসেবে থাকতে চাইছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং এখনও আছেন'।
ফের জামিনের আবেদন খারিজ পার্থ-অর্পিতার। ইডি হেফাজতে নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত প্রাক্তন মন্ত্রী ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগার। এদিন পার্থের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁর আইনজীবী সুকন্য়া ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'মিডিয়াতে বলা হচ্ছে, যে উনি বিধায়ক পদ থেকে অব্য়াহতি চাইছেন। উনি তার সম্পর্ণ বিরোধিতা করেছেন। বিধায়ক হিসেবেই থাকতে চাইছেন এবং এখনও আছেন। দল ও নেত্রীর উপর সম্পূর্ণ আস্থা আছে'।
ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ। গতকাল, শুক্রবার ফের আদালতে পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সঙ্গে অর্পিতাকেও। আদালতে পার্থের জামিনে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। বলেন, প্রভাবশালী তকম মুছে ফেলতে বিধায়ক পদ ছাড়তেও রাজি প্রাক্তন মন্ত্রী। পাল্টা সওয়ালে ইডির আইনজীবী বলেন, অ্যারেস্ট মেমোতে পার্থ নিজেই জানিয়েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ট। সেকারেই তাঁকে জামিন দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee, SSC Scam: কোমডে বসেই কেটেছে বিনিদ্র প্রথম রাত, অবশেষে জেলে খাট পেলেন পার্থ!
পার্থ-অর্পিতাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সেইমতো রাতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে আসা হয় প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারে। জেল জীবন কেমন কাটছে? সূত্রের খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে নাকি একটি কম্বল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঘুমোতে পারেননি তিনি, সারা রাত কাটান জেলের কমোডে বসেই! কেন? সংশোধানাগার কর্তৃপক্ষকে পার্থ জানিয়েছিলেন, স্থুলকায় চেহারার জন্য তাঁর পক্ষে মাটিতে শোয়া কষ্টকর। তাঁকে যেন একটা ঘাট দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে খাট দেওয়াও হয়েছে বলে খবর।
বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদে চাকরি করতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই চাকরি ছেড়ে যোগ দেন সক্রিয় রাজনীতিতে। স্রেফ তৃণমূলের প্রথমসারির নেতাই নন, খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। কিন্তু গ্রেফতারির এখন মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পার্থকে। এমনকী, তৃণমূলে যে পদে ছিলেন, সেই মহাসচিব পদটিও তুলে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি চাকরি ছেড়ে কেন রাজনীতিতে এলেন? 'অনুতপ্ত' পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমনকী, সংশোধানাগারের কর্মীদের কাছে তাঁকে বলতে শোনা যায় যে, 'রাজনীতিতে না এলে এদিন দেখতে হত না'।
এর আগে, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। নিজাম প্যালেসে দীর্ঘক্ষণ তৎকালীন শিল্পমন্ত্রীকে জেরা করেছিলেন তদন্তকারীরা। এরপর একুশের জুলাইয়ে পরের দিনই পার্থের নাকতলার বাড়িতে হানা দেন ইডি। হরিদেবপুরে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়িতে উদ্ধার হয় বিপুল টাকা। গ্রেফতার করা হয় দু'জনকেই।