নথি নেই, কাটছে না জমিজট

পুরনো নথির অভাব এবং ভূমি দফতরের পদ্ধতির ভুলে ভূমি সংক্রান্ত তথ্য দিতে পারছে না রাজ্যের অধিকাংশ দফতর। এর ফলে নির্ভউল ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরির প্রশ্নে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে রাজ্যের ভূমি দফতর। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, রাজ্যে ২ লক্ষ ২৮ হাজার একর জমির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এক লপ্তে বড় জমি না পাওয়ায় সরকারি জমিতে বড় শিল্প গঠন সম্ভব হবে না।

Updated By: Apr 1, 2012, 01:50 PM IST

পুরনো নথির অভাব এবং ভূমি দফতরের পদ্ধতির ভুলে ভূমি সংক্রান্ত তথ্য দিতে পারছে না রাজ্যের অধিকাংশ দফতর। এর ফলে নির্ভউল ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরির প্রশ্নে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে রাজ্যের ভূমি দফতর। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, রাজ্যে ২ লক্ষ ২৮ হাজার একর জমির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এক লপ্তে বড় জমি না পাওয়ায় সরকারি জমিতে বড় শিল্প গঠন সম্ভব হবে না।

ক্ষমতায় আসার পর নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। রাজ্যের ভূমি দফতরকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভূমি দফতরের নির্দেশিত পথে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন দফতর। একশো, দেড়শো বছরের পুরনো রেকর্ড না থাকা, রেকর্ড সংগ্রহের ক্ষেত্রে ভুল পদ্ধতি নেওয়ায় দফতরগুলি সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। নির্ভুল তথ্য না-পেয়ে বার বার চিঠি পাঠানো হয় বিভিন্ন দফতরে। ৩ ধরনের কাঠামোয় তথ্য চাওয়া হয়। সেগুলি হল, সেভেন পয়েন্ট প্রোফর্মা, ফোর পয়েন্ট প্রোফর্মা ও টেন পয়েন্ট প্রোফর্মা। কিন্তু নির্ভুল তথ্য পাওয়া যায়নি। ২৯ মার্চ আবারও চিঠি দিয়ে প্রাথমিক ভাবে জানতে চাওয়া হয়, জমির পরিমাণ কত, জমি খালি আছে কি না, জমি দখল হয়ে গিয়েছে কি না, দখল হলে তার পরিমাণ কত, জমি সংক্রান্ত মামলা আছে কি না। পরবর্তীকালে জানতে চাওয়া হয়, জমির দাগ নম্বর কত, মৌজা নম্বর কত, জমির চরিত্র কী ধরনের। বার বার চেয়েও বেশির ভাগ দফতর থেকে নির্ভুল তথ্য পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে পরিষ্কার ছোট ও মাঝারি মাপের শিল্প, স্কুল, বিভিন্ন সংস্থার ভবন তৈরির মতো যথেষ্ট জায়গা থাকলেও, বড় শিল্প তৈরির মতো জমি প্রায় নেই-ই। তবে চুড়ান্ত ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরির জন্য, কত সময় লাগবে তা এখনও অনিশ্চিত। ২৯ মার্চের চিঠিতে ভূমি সচিব রামদাস মিনা বিভিন্ন দফতরের সচিবদের ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তথ্য জমা দিতে বলেছেন।
তিন ধরনের কাঠামো
১. সেভেন পয়েন্ট প্রোফর্মা
২. ফোর পয়েন্ট প্রোফর্মা
৩. টেন পয়েন্ট প্রোফর্মা
জমি পিছু নির্দিষ্ট তথ্য
১. জমির পরিমাণ কত
২. সম্পূর্ণ জমি খালি কিনা
৩. জমি দখল কিনা
৪. দখল হলে কতটা
৫. জমি ঘিরে মামলা আছে কিনা
যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে
১. দাগ নম্বর কত
২. মৌজা নম্বর কত
৩. জমির চরিত্র কী

.