ল্যাম্পপোস্টের মাথায় ভবঘুরে এক মহিলা, রসগোল্লার টোপ দিয়ে নীচে নামাল পুলিস
ল্যাম্পপোস্টের মাথায় উঠে পড়লেন এক ভবঘুরে। আর তাতেই আজ দুপুরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রবীন্দ্র সরণি চত্বরে। এক মহিলা উঠে পড়েছেন ল্যাম্পপোস্টে। ছুটে আসে দমকল, পুলিস। ইলেকট্রিক কানেকশন কেটে দেওয়া হয় ওই ল্যাম্পপোস্টের। প্রায় পাঁচঘণ্টার চেষ্টায় নামানো সম্ভব হয় ওই মহিলাকে।
ওয়েব ডেস্ক: ল্যাম্পপোস্টের মাথায় উঠে পড়লেন এক ভবঘুরে। আর তাতেই আজ দুপুরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রবীন্দ্র সরণি চত্বরে। এক মহিলা উঠে পড়েছেন ল্যাম্পপোস্টে। ছুটে আসে দমকল, পুলিস। ইলেকট্রিক কানেকশন কেটে দেওয়া হয় ওই ল্যাম্পপোস্টের। প্রায় পাঁচঘণ্টার চেষ্টায় নামানো সম্ভব হয় ওই মহিলাকে।
রবিবারের অলস বেলা। হঠাতই পথচারীদের চক্ষু চরকগাছ। ল্যাম্পপোস্ট বেয়ে উঠে যাচ্ছেন এক মহিলা। মুহূর্তেই জড়ো হয়ে যান লোকজন। ল্যাম্পপোস্ট দিয়ে যে গিয়েছে ইলেকট্রিক তার। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় CESC, বউবাজার থানা আর দমকলে। খবর পেয়েই এই পোস্টে ইলেকট্রিক কানেকশন অফ করে দেওয়া হয়। কিন্তু, ওই মহিলা তো নামার লক্ষণই নেই।
পৌছে যায় পুলিস। আসে দমকল। হাজির চব্বিশ ঘণ্টা। বহু অনুরোধেও নামতে নারাজ ওই মহিলা। বিপদের আশঙ্কায় ল্যাম্পপোস্টের নীচে পাতা হয় খড়। ল্যাম্পপোস্টের গায়ে লাগানো হয় দমকলের মই। তা দেখে গাছের ডাল ধরে একটু নেমে আসেন ওই মহিলা। কিন্তু, আবারও উঠে পড়েন। হাজির হয়ে যায় অ্যাম্বুলেন্স।
বেগতিক দেখে আনা হয় পুরসভার ডাম্পার ক্রেন। ততক্ষণে বেলা প্রায় আড়াইটে। মই আর গাছ বেয়ে একটু নামতেই ওই ক্রেন দিয়ে নামিয়ে আনা হয় ওই মহিলাকে। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
রবীন্দ্র সরণির ল্যাম্পপোস্টই না। এর আগে হাওড়া ব্রিজেও বেশ কয়েকবার উঠে পড়ে ভবঘুরেরা। কখনও রসগোল্লা খাওয়ানো হবে বলায় নেমে এসেছেন ভবঘুরে। কখনও বহু অনুরোধে নেমে এসেছেন হাওড়া ব্রিজের মাথা থেকে।