থিম বা সাবেকিয়ানা নয়! জীবন্ত দুর্গার আরাধনায় প্রজাপিতা ব্রহ্মা কুমারী আশ্রম
বিগত ৩০ বছর ধরে এইভাবে মাতৃ আরাধনা করে আসছে প্রজাপিতা ব্রহ্মা কুমারী আশ্রম।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বছরভরের ব্যস্ততা যেন এসে থমকে যায় এই পাঁচটা দিন। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙালি বছরের এই পাঁটটি দিনে দৈনন্দিন সমস্ত কাজ ভুলে আনন্দে মেতে ওঠে। উৎসব মুখর হয়ে ওঠে বাঙালি। উৎসবে মেতে ওঠা বাঙালিকে একটু অন্যরকম স্বাদ উপহার দিতে এক অভিনব পন্থা নিয়েছে লেকটাউন বাঙ্গুরের প্রজাপিতা ব্রহ্মা কুমারী আশ্রম। এখানে পুজোর চারটে দিনে দশভূজার আরাধনায় কোন থিম বা সাবেকিয়ানায় ভরসা করা হয় না। বরং মাতৃ আরাধনার মূল মন্ত্র নিজের অন্তরের শান্তি বৃদ্ধি। আর সেই মন্ত্রকে পাথেয় করে জীবন্ত দুর্গার আরাধনা করা হয়। উল্লেখ্য, এই প্রথম বছর নয় বিগত ৩০ বছর ধরে এইভাবে মাতৃ আরাধনা করে আসছে প্রজাপিতা ব্রহ্মা কুমারী আশ্রম।
আশ্রম কর্তৃপক্ষ নিজস্বতার ছাপ রেখে চলেছে। আশ্রমে দিনে যে তিনটি মেডিটেশন ক্লাস চলে সেখানকারই শিক্ষার্থীদের থেকে কয়েকজনকে বেছে নিয়ে পুজোর চারদিন তাদের মাতৃরূপে পুজা করা হয়। পুজোর চারদিনে প্রায় ছয় ঘন্টা ধরে বর্তমান যুগে যারা সবথেকে ব্যস্ত বলে কথিত সেই যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের দুর্গা সাজিয়ে বসানো হয়। শুধু দূর্গাই নয় তার সঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশও থাকে। তারাও একইভাবে ছয় ঘন্টা ধরে বসে থাকে। এই বিষয়ে আশ্রমের ব্রহ্ম কুমারী তনুশ্রী জানায়, ''আমাদের মধ্যে যে বিশ্বাস কাজ করে যে যুব সমাজের মধ্যে কোন ধৈর্য নেই! সেখানে এই যুব সম্প্রদায় টানা ৬ ঘন্টা নিস্পলক হয়ে বসে থাকে, এটা একটা আশ্চর্যজনক ব্যাপার। আর তা দেখার পরে অনেকেই মেডিটেশনের জন্য অনুপ্রাণিত হন এবং সত্যিকারের শান্তির অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে। আমরা দেখেছি যারা নিয়মমত মেডিটেশন করছে তারা সাংসারিক জীবন ও কর্ম জীবনে অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। কারণ যখন আমাদের মন শান্ত থাকে, বুদ্ধি স্থির থাকে তখন অবশ্যই আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেব, সঠিক পথে চলব। পরিস্থিতি কঠিন হলে বিচলিত হব না। সাফল্য আসবে তাতেইই।''